জাকির হোসেন,স্টাফ রিপোর্টার:: দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সেলফি তোলার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘একটা কাজ করুন সেলফিটা বাঁধিয়ে গলায় ঝুলিয়ে বেড়ান।’
তিনি বলেন, ‘একটা রাজনৈতিক দল কতোটা নিঃস্ব, দেউলিয়া হলে একটা সেলফি নিয়ে এতোটা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে পারে।’
রবিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আমার পরামর্শটা নেবেন। ওই ছবি গলায় ঝুলিয়ে জনগণকে বোঝান বাইডেন এখন আমার সঙ্গে আছে। অথচ কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী বললেন, আমেরিকা বলেছে সেন্টমার্টিন দ্বীপ দিয়ে দেওয়ার জন্য। যেহেতু সেন্টমার্টিন দ্বীপ দিচ্ছে না, সেজন্য আমেরিকা নাকি তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায়। তাহলে এখন কি বুঝব আমরা, আপনি সেন্টমার্টিন দ্বীপটা দিয়ে দিয়েছেন? তিনি আরও একটি কথা বলেছেন- এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে আমেরিকা বেইস করে এই অঞ্চলে প্রভুত্ব করবে, দেশগুলো দখল করবে, আক্রমণ করবে।
তিনি বলেন, সেলফির জন্য র্যাবের ওপর থেকে স্যাংকশন উঠেনি, ভিসানীতির পরিবর্তন হয়নি। তার জন্য নতুন ডেমোক্রেসি কনভেনশন ডেকে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সুতরাং ভেবেচিন্তে কথা বলবেন। আপনারা কথা বলেন কিন্তু ভেবেচিন্তে বলেন না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, যতই ছবি দেখান যদি জনগণ ভোট দিতে না পারে তারা আপনাদের ক্ষমা করবে না। আমেরিকা পরিষ্কার বলেছে, তারা বাংলাদেশের সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চাই। তারা বলেছে এখানে সকল দলের অংশগ্রহণ একটা ভালো নির্বাচন দেখতে চাই যেটা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, 'পুলিশের আইজি সাহেব বলেন, গায়েবি মামলা কী ওনি জানেন না। জানার কথা না, কারণ মামলাগুলো ওনি দেন তো; ওনার পুলিশ দেয়।'
তিনি বলেন, 'তারা (আওয়ামী লীগ) সম্পূর্ণ দেশকে, জাতিকে জিম্মি বানিয়ে আবার একটা নির্বাচনের দিকে নিয়ে যেতে চাচ্ছে। আমরা পরিষ্কার করে বলেছি; বিএনপি একা না, কারণ এই সমস্যাটা বিএনপির একার না—এই সমস্যা সমগ্র জাতির। আজকে সমগ্র জাতি বঞ্চিত হচ্ছে ভোটের অধিকার থেকে। আমাদের সংবিধানে যেটা বলা আছে, এটা জনগণের রাষ্ট্র। জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী দেশ চলবে। জনগণ যাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে তারাই শুধুমাত্র দেশ পরিচালনা করবে পাঁচ বছরের জন্য।'
'এখন সেটাকে তারা পুরোপুরি বদলে দিয়ে এটা আওয়ামী লীগের সংবিধানে পরিণত করেছে। সে জন্য আবারো তারা ওই নির্বাচনে যেতে চায়। তার জন্য কত রকমের ব্যবস্থা তারা করছে! প্রতিদিন অসংখ্য মিথ্যা কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে,' বলেন তিনি।