রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, স্টাফ রিপোর্টার: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণার নির্ধারিত সময় শেষ হয়েছে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টায়। বৃহস্পতিবার প্রচারণার শেষ দিনে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলেন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং তাদের কর্মী-সমর্থকরা।
সেই হিসাবে শুক্রবার সকাল ৮টার পরে কোনো প্রার্থী আর জনসভা, পথসভা, মিছিল বা শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পারবেন না। কিন্তু তারপরও জাপার লাঙলের পক্ষে তিন তিনটে উঠোন বৈঠক করেছেন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের তারাপুর ইউনিয়ন পল্লীবন্ধু পরিষদের সভাপতি মাসুদ মিয়া।
জানা গেছে, বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত লাঙলে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের উৎসাহিত করতে উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের লাটশালা, নিজামখাঁ ও ঘগোয়ায় দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে তিন তিনটে উঠোন বৈঠক করেছেন ওই নেতা। ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের লাটশালা চরের উঠোন বৈঠকে উপস্থিত ভোটারদের সামনে ওয়ার্ড সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদককে পরিচয় করিয়ে দিয়ে মাসুদ বলেন, এখানকার মানুষের এক কথা। ব্যারিস্টারকে ভোট দেব। আমি মাসুদ এখানে বলি গেইলাম, ব্যারিস্টার যদি ক্যাল এমপি হয়, আপনারা যদি তাকে এমপি বানান, তাহাইলে আমি তাহাকে বলি দেব, চৈতন্য বাজার থেকে পাওয়ার প্লান্ট এবং চৈতন্য বাজার থেকে চরখোদ্দা ব্রিজ দুইটা করি দিবেন।
নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হলেও তিনটি উঠোন বৈঠক করার বিষয়ে জানতে চাইলে পল্লীবন্ধু পরিষদের ওই সভাপতি বলেন, ওই জায়গায় উঠোন বৈঠক করা হয়নি তো তাই করেছি।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী নাহিদ রসুল বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।