ঢাকাবুধবার , ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সুন্দরগঞ্জে স্ত্রীর বিরুদ্ধে পুরুষ নির্যাতন মামলা!

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
ডিসেম্বর ১১, ২০২৪ ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সুন্দরগঞ্জে স্ত্রীর বিরুদ্ধে পুরুষ নির্যাতন মামলা!

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে স্ত্রী চন্দনা রাণী প্রতিমার (৩২) বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেছেন স্বামী রবিন্দ্রনাথ কর্মকার (৪২)। অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন বিচারক।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে সুন্দরগঞ্জ আমলি আদালতের বিচারক মো. জান্নাতুল ইসলাম এ সমন জারি করেন।

নির্যাতিত স্বামী রবিন্দ্রনাথ কর্মকার সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার দত্তপাড়া গ্রামের মৃত জোগেশ চন্দ্র কর্মকারের ছেলে।

এ মামলায় স্ত্রী চন্দনা রাণী প্রতিমা ছাড়াও আরও দুজনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার বামনজল মহল্লার মৃত রবিন্দ্রনাথ কণ্ঠকের ছেলে দীপু চন্দ্র কণ্ঠক (৩৫) ও সুরেশ চন্দ্রের স্ত্রী উর্মিলা রাণী (৫৫)। তারা চন্দনা রাণী প্রতিমার ভগ্নীপতি ও মা।

মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৮ বছর পূর্বে সনাতন ধর্মের বিধান অনুযায়ী পারিবারিকভাবে চন্দনা রাণী প্রতিমার সাথে নির্যাতিত রবিন্দ্রনাথ কর্মকারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে পাড়েন কর্মকার (১৫) ও মুসকান (৭) নামে দুজন কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের পর থেকেই চন্দনা রাণী প্রতিমা তার মা ও ভগ্নিপতির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পরামর্শে বিভিন্ন সময় স্বামী রবিন্দ্রনাথ কর্মকারের কাছে যৌতুক দাবি করে আসছে। বদরাগী হওয়ায় সামন্য কিছু হলেই কাউকে কিছু না বলে যখন-তখন বাবার বাড়ি চলে যায়। ওই সময় স্ত্রীকে আনতে গেলে ত্রিশ লাখ টাকা অথবা বাড়ি ভিটার ৩৫ শতক জমি লিখে দিতে বলেন।

রবিন্দ্রনাথ কর্মকার সংসার ও দুই কন্যা সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই তের শতক জমি ক্রয়পূর্বক স্ত্রী চন্দনা রাণী প্রতিমার নামে রেজিষ্ট্রী করে দেন। এরপর কিছুদিন ভালভাবে সংসার করলেও আবার বাড়ি ভিটার জমি বা ত্রিশ লাখ টাকা যৌতুকের দাবি করেন। জমি বা টাকা না দিলে সংসার করবে নয়তো সংসার করবে না মর্মে হুমকি প্রদানসহ নানাভাবে অমানুষিক নির্যাতন করতে থাকে।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, সর্বশেষ চলতি বছরের ৯ মে বিকেলে চন্দনা রাণী প্রতিমা তার মায়ের সহযোগিতায় বাদির পূর্ব দুয়ারী ঘরে থাকা শোকেচ খুলে গচ্ছিত নগদ পঁচিশ লাখ টাকা, কৌটায় থাকা ২২ ভরি ওজনের স্বর্ণালাংকারসহ কাশার ৪৫টি থালা ও ৫টি গ্লাস বস্তায় ভরে অটোযোগে তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। এসময় নাবালিকা কন্যাদেরও নিয়ে যায়।

বাদীর আইনজীবি গাইবান্ধা জেলা জজকোর্টের এ্যাড. আবেদুর রহমান সবুজ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ২০১৮ সালের যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারা মোতাবেক অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচারক আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন