রাশেদুল ইসলাম রাশেদ:: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পৌরসভায় শুধু নামেই একটি শাপলা চত্বর আছে, কিন্তু বাস্তবে কোনো শাপলা নেই সেই শাপলা চত্বরে। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা আর খামখেয়ালীপনার জন্য জায়গাটিতে শাপলা ফুল না ফুটিয়ে হয়ে আছে ময়লার স্তুপ। আস্তে আস্তে জঙ্গলে রূপ নিচ্ছে চত্বরটি।
জানা গেছে সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার অন্যতম গুরুত্বপুর্ণ ব্যবসা কেন্দ্র মীরগঞ্জ বাজার, যা বন্দর হিসেবে খ্যাত। এ বন্দরে রয়েছে রড, সিমেন্ট, ঢেউটিন, সার, বড় বড় হার্ডওয়ারের পাইকারি ও খুচরা দোকান, রয়েছে ধান-চালের আড়ৎ। এ ছাড়া সপ্তাহের বুধ ও শনিবার বসে এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় হাট, বসে অন্যদিন বাজার।
এলাকাটিতে বাস করে পৌরসভার প্রায় ৩০ শতাংশ লোক। বন্দরে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের সমাগম হওয়ায় বন্দরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য পৌরসভার অর্থায়নে মীরগঞ্জ-সোনারায়-হাসানগঞ্জ এবং সুন্দরগঞ্জ-মীরগঞ্জ-চৌধুরানী-রংপুর সড়কের সংযোগস্থলে শাপলা চত্বর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল বছর সাতেক আগে। সরকারি ওই জায়গা থেকে জনৈক ঘোড়াওয়ালার বাড়ি সরিয়ে দিয়ে ত্রিভুজাকার একটি স্থাপনাও তৈরি করা হয় ওই সময়। কিন্তু দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও শাপলা চত্বরে আর ফুটেনি ‘শাপলা।’
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে অপরিচ্ছন্ন রয়েছে ওই চত্বর। চত্বরে চাষ হয়েছে গাছ আলু, ঝুলছে বিভিন্ন সাইন বোর্ড। দোকানিরা তাদের ক্যাশ মেমোয় লিখছেন ‘শাপলা চত্বর’। অথচ নেই কোনো শাপলা।
সুন্দরগঞ্জ পৌর মেয়র আবদুর রশিদ সরকার ডাবলু এ বিষয়ে প্রতিদিনের বাংলাদেশ’কে দায়সারা জবাব দিয়ে বললেন, ভবিষ্যত পরিকল্পনা রয়েছে চত্বরটিতে শাপলা ফুল ফোটানোর।