রাশেদুল ইসলাম রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টার: ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে গাইবান্ধার দুইটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৯ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সাদুল্লাপুর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় কাগজের ব্যালটে ভোটগ্রহণ শেষে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার রাত পৌনে বারোটার দিকে সহকারি রিটানিং অফিসার ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম এবং সহকারি রিটানিং অফিসার ও সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাওছার হাবীব তাদের নিজ নিজ কার্যালয়ের হলরুমে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। চেয়ারম্যান পদে সুন্দরগঞ্জে মোস্তফা মহসিন সরদার টিপু ও সাদুল্লাপুরে মো. রেজাউল করিম রেজা ও বিজয়ী হয়েছেন।
প্রাপ্ত বেসরকারি ফলাফলে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান বিজয়ী হয়েছেন মোস্তফা মহসিন সরদার টিপু। তিনি লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ২৭ হাজার ১১৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. খয়বর হোসেন সরকার হেলিকপ্টার প্রতীকে ২১ হাজার ৯১৮ ভোট পেয়েছেন।
সুন্দরগঞ্জে ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মাইক প্রতীকে জয়ন্ত কুমার দাস ১৫ হাজার ৬৬৪ ভোট পেয়ে পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আমিনুল ইসলাম সাজু লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৯৩৭ ভোট।
এছাড়া মোছা. ছালমা আক্তার কলস প্রতীকে ৩১ হাজার ৫২৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নারী ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আল্পনা রানী গোস্বামী প্রজাপতি প্রতীকে পেয়েছেন ২০ হাজার ২৭৭ ভোট।
এদিকে জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন মো. রেজাউল করিম রেজা। তিনি পেয়েছেন ৩০ হাজার ২১৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু সাআদাত শাহ্ মো. ফজলুল হক রানা মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৫৯০ ভোট।
এই উপজেলায় ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মোন্তেজার রহমান চঞ্চল তালা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৮৯৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আছকালাম আকন্দ টিয়াপাখী প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ভোট ২০ হাজার ১৬ ভোট। নারী ভাইস-চেয়ারম্যান পদে আকতার বানু লাকি হাঁস প্রতীক নিয়ে ৩৮ হাজার ৫৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাভলী বেগম কলস প্রতীকে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৫৫১ ভোট। এই উপজেলায় মোট ভোট পড়েছে ৩৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান বলেন, নির্বাচনে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল। এছাড়া নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষতার সাথে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি নির্বাচনি এলাকার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ প্রতিরোধ ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা এবং স্ট্রাইকিং ফোর্সকে দিক নির্দেশনা প্রদানের জন্য বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটরা সহ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটগণ দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নিয়োগ প্রদান এবং তাদের সকল ধরনের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। নির্বাচনী পরিবেশ পর্যবেক্ষণে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও সম্মানীত নাগরিকদের সমন্বয়ে ভিজিল্যান্স টিম গঠন করা হয়। ফলে নির্বাচনে আবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
আরইসআর/প্রবা