ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৫ অক্টোবর ২০২৩
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সুন্দরগঞ্জে তিস্তার পানি বিপৎসীমার উপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
অক্টোবর ৫, ২০২৩ ৯:৪০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

রাশেদুল ইসলাম রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টার: উজানের ঢলে উত্তরের জেলা গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় তিস্তা নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি ৮৭ সেন্টিমিটার বেড়েছে। যা তিস্তা বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকালে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উজানে তিস্তা নদীর পানি সমতলে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকাল ৬ টায় তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে পানি রেকর্ড করা হয়েছে ২৯.০০ মিটার। যা বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপরে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকাসমূহ প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

বন্যার এই পূর্বাভাস পাওয়ার গত বুধবার থেকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন তিস্তা নদী বেষ্টিত চর ও নিচু অঞ্চলের মানুষকে দ্রুত উঁচু স্থানে সরিয়ে যাওয়ার জন্য মাইকিং করেন। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয় মসজিদ থেকেও চলে মাইকিং। এছাড়াও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির আয়োজনে বন্যার পূর্বাভাস নিয়ে আগাম প্রস্তুতি ও বন্যার সময় করণীয় বিষয়ক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এদিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের তালুক বেলকা, জিগাবাড়ি, পঞ্চানন্দ পলাশতলা, বেলকা নবাবগঞ্জ ও কিশামত সদর, হরিপুর ইউনিয়নের চর চরিতাবাড়ি, মাদারিপাড়া, পাড়া সাদুয়া, কানিচরিতা বাড়ি, রাঘব, কারেন্ট বাজার, কাপাসিয়া ইউনিয়নের বাদামেরচর, কাজিয়ারচর, পোড়ার চর, কেরানির চর, রাজার চর, মিন্টু মিয়ার চরসহ তারাপুর, চন্ডিপুর ও কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

নদীপাড়ের বাসিন্দারা জানান, পানি বেড়ে যাওয়ায় তিস্তার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হচ্ছে। আকষ্মিক পানি বৃদ্ধিতে বন্যার শঙ্কায় রয়েছে। চলতি মৌসুমে কয়েক দফায় বন্যা হলেও তা বেশি সময় স্থায়ী ছিল না। মৌসুমের শেষ দিকে বন্যায় ব্যাপক ফসলহানি, বসতবাড়ি, গবাদি পশুর ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা।

উপজেলার তালুক বেলকা গ্রামের জিয়াউর রহমান রয়েল বলেন, তিস্তায় আকষ্মিকভাবে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ এতে ফসলের অনেক ক্ষতি হবে। বিশেষ করে ধান আর সবজির বেশি ক্ষতি হবে।

কাপাসিয়া ইউনিয়নের কাজিয়ার চরের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, কাল রাত থেকে অনেক পানি বেড়েছে। পানি বাড়ার সাথে সাথে নদীর ভাঙনও শুরু হয়। গত কয়েকদিনে অনেক আবাদি জমি নদীতে ভেঙে গেছে। ভাঙন এখনো অব্যাহত আছে।

বেলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইব্রাহিম খলিলুল্যাহ বলেন, তিস্তাপাড়ের বাসিন্দাসহ অন্যদের সতর্ক থেকে জানমালসহ নিরাপদ আশ্রয়ের যেতে সন্ধ্যা থেকে মাইকিং করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন মসজিদেও মাইকিং চলছে। বর্তমানে সবাই নিরাপদ স্থানে সরে যাচ্ছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ভারতের সিকিমের একটি বাঁধ ভেঙে গেছে। ফলে প্রবল বেগে উজান থেকে বিপুল পরিমাণে পানি তিস্তা নদী দিয়ে দ্রুত নেমে আসছে। সম্ভাব্য বন্যার হাত থেকে তিস্তা নদী বেষ্টিত ৭টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে ২৭টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও জরুরি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

এবিষয়ে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক বলেন, উজানে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় তিস্তায় হু হু করে পানি বাড়ছে৷ গত ২৪ ঘন্টায় ৮৭ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যা বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন