পিন্টু কুমার সরকার:: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ১১/০৯/২০২৩ রাত ১২ টার পরপরই থানা রোডে "আমজাদ ভিলা" নামে একটি চারতলা ভবনের নিচতলার কক্ষে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে, সুন্দরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ১ টি ইউনিট প্রায় ১ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন, যেখানে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি । বাড়ির মালিক মোঃ আমজাদ হোসেন। পেশায় তিনি অবসরপ্রাপ্ত একজন পুলিশ সদস্য।
চারতলা এই ভবনটির নিচতলায় মার্কেট এবং ২য় তলা থেকে উপরে ফ্ল্যাট হিসেবে ভাড়া দেয়া ছিলো।
এমনকি আমজাদ হোসেনও একই ভবনটিতে থাকতেন।
রাত আনুমানিক ১২ টার দিকে ধোঁয়া বেরুচ্ছে দেখে আগুন লাগার বিষয়টি ভবনের লোকজন জানতে পেরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। দ্রুততম সময়ে ফায়ার সার্ভিসের ১ টি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন, ছুটে আসেন সুন্দরগঞ্জ থানার অফিসার ইন-চার্জ কে.এম. আজমিরুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম, ওসি নিজেও উপস্থিত ছিলেন আগুন নিয়ন্ত্রণে না আনা পর্যন্ত, উপস্থিত ছিলেন সাবেক পৌর মেয়র মোঃ আব্দুল্লাহ আল-মামুন সহ স্থানীয়রা।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মোঃ আব্দুল জব্বারের জুতার গোডাউন ছিলো ভবনটির নিচতলার কক্ষে।
ওই ব্যবসায়ীর দাবী প্রায় ২১ লক্ষ টাকার জুতা ছিলো গোডাউন টিতে।
সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার প্রকৌশল দপ্তরের সাথে কথা বলে যেটি জানা যায়, ভবনটি নির্মাণে ত্রুটি থাকতে পারে, খোঁজ খবর নিয়ে আজ ১১/০৯/২০২৩ তারিখে দুপুরে সাংবাদিকদের জানানো হবে। কারণ ভিডিও দেখে এখনো তারা ভবনটি শনাক্ত করতে পারেন নি।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পৌরসভা কার্যালয়ের কাউকেই ঘটনাস্থলে পাওয়া যায় নি।
সুন্দরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন বৈদ্যুতিক শট-সার্কিট থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে। এছাড়া তদন্ত সাপেক্ষে বাকীটা নিশ্চিত করে তারা বলতে পারবেন, তবে ভেন্টিলেটর ব্যবহার করা হলে আগুন লাগার পরপরই ভেন্টিলেটর দিয়ে ধোঁয়া বেরুচ্ছে এমনটা অন্যেরা দ্রুত দেখতে পেতেন, তাহলে আগুন আরও দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে পারতেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
সুন্দরগঞ্জ থানার অফিসার ইন-চার্জ কে.এম. আজমিরুজ্জামান জানান আগুন লাগার বিষয়টি শুনতে পাওয়া মাত্রই সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিমসহ আগুন নিয়ন্ত্রণে না আনা পর্যন্ত নিজেই উপস্থিত থেকে উৎসুক জনতাকে শান্ত থাকার অনুরোধ পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যাতে নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারেন সেটি নিশ্চিত করেছেন। ওসি জানান আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে ফায়ার সার্ভিস কতৃপক্ষ ভালো বলতে পারবেন, তবে এই অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি।
সরেজমিনে গিয়ে ঘটনাস্থলে দেখতে পাই মূলত ভবনটির নিচতলায় যে মার্কেট রয়েছে সেটির দুটি কক্ষে আগুন লেগেছিলো, যেটি জুতার গোডাউন হিসেবে পাশের ব্যবসায়ী মোঃ আব্দুল জব্বার ব্যবহার করতেন।
কক্ষে বিভিন্ন ধরনের প্রায় একুশ লক্ষ ষাট হাজার টাকার জুতা ছিলো বলে দাবী করেছেন ব্যবসায়ী মোঃ আব্দুল জব্বার।
ভবনটিতে প্রবেশের পর উপর তলার বাসিন্দাদের নিচে নামিয়ে আনার দৃশ্য আরও করুন। সরু সিড়ি, নেই পর্যাপ্ত চলাচলের জায়গা। ভবনটির ছাদ ও পিছনের গ্রিল তালাবদ্ধ ছিলো এতে করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কাজ করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিলো।
সত্যিকার অর্থেই সুন্দরগঞ্জের অধিকাংশ মার্কেট ও ভবনে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা-র কোন সুযোগ রাখাই হয়নি।
পৌরসভার ভিতরে ভবন নির্মাণ করতে বেশকিছু নিয়ম কানুন মেনে পৌরসভার প্রকৌশল দপ্তরের অনুমতি ও নকশা নিয়ে ভবন নির্মাণ করতে হয়, এই ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে তবে কি এসব নিয়ম মানা হয়েছে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।