ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৩০ মে ২০২৪
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সুন্দরগঞ্জে জামানত হারালেন ৬ চেয়ারম্যানসহ ১৯ প্রার্থী!

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
মে ৩০, ২০২৪ ৩:৪০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাশেদুল ইসলাম রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টার:: ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের সাধারণ নির্বাচনে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ৯ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ২৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ না পাওয়ায় ৬ চেয়ারম্যান, ১১ ভাইস চেয়ারম্যান ও ২ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

বুধবার (২৯ মে) ভোটগ্রহণ শেষে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রাথমিক বেসরকারি ফলাফল বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রাপ্ত বেসরকারি ফলাফলে ইঞ্জিনিয়ার মো. মোস্তফা মহসিন সরদার টিপু লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ২৭ হাজার ১১৯ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. খয়বর হোসেন সরকার মওলা হেলিকপ্টার প্রতীকে ২১ হাজার ৯১৮ ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল আলম সরকার লেবু কাপ-পিরিচ প্রতীকে ১৫ হাজার ৮৭৬ ভোট পেয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাইক প্রতীকে জয়ন্ত কুমার দাস ১৫ হাজার ৬৬৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আমিনুল ইসলাম সাজু লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৯৩৭ ভোট। এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোছা. ছালমা আক্তার শিল্পী কলস প্রতীকে ৩১ হাজার ৫২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আল্পনা রানী গোস্বামী (প্রজাপতি) ২০ হাজার ২৭৭ ভোট ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে সালমা (হাঁস) প্রতীকে ১৫ হাজার ১৮ ভোট পেয়েছেন।

নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য একজন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুকূলে এক লাখ টাকা জমা দিতে হয়। আর ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য জমা দিতে হয় ৭৫ হাজার টাকা। নির্বাচনী এলাকার প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট যদি কোনো প্রার্থী না পান, তাহলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

ফলাফলে দেখা যায়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫৭৯ জন ভোটের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে মোট প্রদত্ত (কাস্টিং) ভোট ১ লাখ ৫৭। শতকরা হিসেবে ২৫ দশমিক ১১ শতাংশ। জামানত রক্ষায় প্রদত্ত (কাস্টিং) ভোটের ১৫ শতাংশ অনুযায়ী প্রত্যেক প্রার্থীদের পেতে হতো ১৫ হাজার ৯ ভোট। সে অনুযায়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. সফিউল ইসলাম আলম (আনারস) ২৫১ ভোট, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও দহবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. গোলাম কবির মুকুল (টেলিফোন) ৫ হাজার ৭১৬ ভোট, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আখতারুজ্জামান আকন্দ শাকিল (দোয়াত-কলম) ৩ হাজার ৩৮ ভোট, সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওয়াহেদুজ্জামান সরকার বাদশা (মোটরসাইকেল) ১১ হাজার ৬২৬ ভোট, সাজ্জাদ হোসেন লিখন (ঘোড়া) ৮ হাজার ৯৭২ ভোট ও মো. এরশাদ আলী সূর্য (ব্যাটারি) প্রতীকে ১ হাজার ৪০৮ পেয়ে জামানত হারাচ্ছেন। তবে পর্যাপ্ত সংখ্যক ভোট পাওয়ায় খয়বর হোসেন সরকার মওলা (হেলিকপ্টার) ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল আলম সরকার লেবু (কাপ-পিরিচ)’র জামানত রক্ষা হয়েছে।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১ লাখ ৭৫ ভোট পড়েছে। জামানত রক্ষায় প্রার্থীদের পেতে হতো ১৫ হাজার ১১ ভোট। সে অনুযায়ী, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ব ম আহসানুল করিম চাঁদ (টিয়া পাখি) ২ হাজার ১১, উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. আব্দুল্লাহ আল মেহেদী রাসেল (গ্যাস সিলিন্ডার) ৬ হাজার ৪৯২, পৌর যুবলীগের সভাপতি মো. মারুফ হোসেন প্রামাণিক বাদল (চশমা) ১২ হাজার ৩২১, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএমএম এমিল সাদেকীন (উড়োজাহাজ) ১০ হাজার ২২১, আওয়ামী লীগ নেতা মো. মাহালম মিঞা (টিউবওয়েল) ৮ হাজার ৪৩০, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মুন্সী মো. আমিনুল ইসলাম সাজু (লাঙ্গল) ১৩ হাজার ৯৩৭, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম মনোনীত মো. আল শাহাদাৎ জামান জিকো (সিংহ) ৩ হাজার ৭৭২, মহসিন আলী মন্ডল (পালকি) ৮ হাজার ৩৬১, মো. ছামিউল ইসলাম ভূইয়া (আইসক্রিম) ২ হাজার ৩৪৪, মো. শামীম সরদার (বৈদ্যুতিক বাল্প) ৩ হাজার ৮৭৩ ও মো. সাদ্দাম তালুকদার (তালা) প্রতীকে ৬ হাজার ৭’শ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১ লাখ ৩১ ভোট পড়েছে। সে মোতাবেক জামানত রক্ষায় প্রয়োজন ১৫ হাজার ৫ ভোট। এতে যুব মহিলা লীগ নেত্রী শ্রীমতি স্বপ্না রানী (ফুটবল) ১২ হাজার ৮৬৮ ও জাতীয় মহিলা পার্টির নেত্রী মোছা. ফেরদৌসী বেগম (বৈদ্যুতিক পাখা) প্রতীকে ১২ হাজার ৮৬৩ ভোট পেয়ে জামানত খোয়ালেন। তবে আল্পনা রানী গোস্বামী (প্রজাপতি) ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে সালমা (হাঁস) তাদের জামানত রক্ষা করতে পেরেছেন।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থী মোট কাস্টিং ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট পেলে নিয়ম অনুযায়ী জামানত ফিরে পাবেন। যদি ১৫ শতাংশের নিচে কেউ ভোট পান তাহলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন