রাশেদুল ইসলাম রাশেদ।। গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ৬ কোটি টাকার বিল বকেয়া পরেছে গ্রাহকদের । খোদ সরকারি কর্মকর্তাদের কার্যালয় ও ব্যবহৃত ভবনগুলোও বকেয়া তালিকায় রয়েছে। সর্বোচ্চ বিল খেলাপির তালিকায় আছে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। বিদ্যুতের এই অসহনীয় লোডশেডিং এর কারণে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সুন্দরগঞ্জ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট গ্রাহক ১ লাখ ২৩ হাজার। এর মধ্যে সেচ গ্রাহক ৩ হাজার ও শিল্প গ্রাহক ৩০টি। বাকী গ্রাহকের ধরন আবাসিক ও বাণিজ্যিক। সরকারি অফিস , শিল্প প্রতিষ্ঠান, প্রভাবশালী মহল মিলে প্রায় ৬ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে।
বাকীর তালিকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫ লাখ, তারাপুর ইউনিয়নের আশেক আলী ৩ লাখ ৩০ হাজার, মেহেদী রহমান ১ লাখ ১৯ হাজার, বেলকা ইউনিয়নের মোখলেছুর রহমান ১ লাখ ৮ হাজার, আলী বাবা থিম পার্ক ১ লাখ ২২ হাজার, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ১ লাখ ২০ হাজার, সর্বানন্দ গ্রামের রাসেল মিয়া ১ লাখ , খাদ্য গুদাম ৭৬ হাজার টাকা, আতিয়ার রহমান ৫০ হাজার টাকা, আশরাফুল ইসলাম ৬০ টাকা বকেয়া রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আবুল ফাত্তাহ জানান, বিদ্যুতের বকেয়া বিলের জন্য অধিদপ্তরের চাহিদা দেয়া হয়েছে। কিন্তু টাকা সরবরাহ না করায় বকেয়া বিদ্যু বিল পরিশোধ করা সম্ভাব হচ্ছে। বহুবার বিল ছাড় করণের জন্য তাগাদা প্রদান করা হচ্ছে। অজ্ঞত কারণে বিদ্যুৎ বিলের টাকা পাওয়া যাচ্ছে না।
ডিজিএম আব্দুল বারী জানান, বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ের জন্য গ্রামে গ্রামে মাইকিং এবং বুথ চালু করেও বিল আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমান বিদ্যুতের যে অবস্থা তাতে করে বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা বিপাকে রয়েছে। একজন গ্রাহকের খুব বেশি টাকা বকেয়া না। গ্রাহকদের স্বদিচ্ছার কারণে বিল সমূহ বকেয়া রয়েছে। অন্যান্য উপজেলার চেয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যুতের লোডশেডিং অনেক কম।