রাশেদুল ইসলাম রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টার: সারাদেশের মতো গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনেও বইছে নির্বাচনের হাওয়া। উপজেলা শহর, বন্দর ও বিভিন্ন গ্রামে ঝুলছে লাঙ্গল, ঢেঁকি, মশাল, ডাব ও গামছাসহ বিভিন্ন প্রতীকের পোস্টার। শীতের সকাল, বিকাল ও রাতে টি-স্টলগুলোতে চলছে চায়ের আড্ডা। কে হবেন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী তা নিয়ে চলছে কানাঘুষা। এই প্রথম নির্বাচনে অংশ নিয়েই চমক সৃষ্টি করেছেন স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী নাহিদ নিহার সাগর। ভাঙন ধরাতে পারেন লাঙলের দূর্গে।
জানা যায়, এ আসনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিল্পপতি মিসেস আফরুজা বারী। পরে জাতীয় পার্টির সাথে সমঝোতা হলে কেন্দ্রীয় নির্দেশে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন তিনি। কিন্তু মা মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেও নির্বাচনে থেকে যান মেয়ে প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার সাগর। যিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য এবং প্রস্তাবিত কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক। নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র হিসেবে অংশ নিতে পারবেন দলীয় যে কেউ। নেওয়া হবে না কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা। আওয়ামী লীগের এমন গ্রীণ সিগনালে নাহিদ নিগারের এখন পোয়াবারো।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়নের যেখানেই নাহিদ নিগার যাচ্ছেন, সাথে থাকছেন মা আফরুজা বারী এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এতে বেশ চাঙা হয়ে উঠছেন সমর্থকরা। কাঙ্খিত প্রার্থীকে কাছে পেয়ে ঢেঁকি, ঢেঁকি বলে মুহুর্মুহু স্লোগান তুলছেন ভোটাররা। তারা বলছেন, নৌকা প্রতীক নেই, কিন্তু স্বতন্ত্র হলেও আওয়ামী লীগ করেন এমন প্রার্থী তো রয়েছেন। ‘নৌকার বিকল্প এখন ঢেঁকি’ এমন মন্তব্য করতে দেখা যায় নৌকার সমর্থকদের।
এদিকে, ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন নিগারের মামা প্রয়াত মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। আর মামার আসনেই নির্বাচনে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের হাতছাড়া হয়ে যাওয়া আসনটি পুনরুদ্ধার করতে চান তিনি। গড়তে চান স্বপ্নের সুন্দরগঞ্জ।
জয়ের ব্যাপরে আশাবাদ ব্যক্ত করে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার বলেন, তিস্তার ভাঙন কবলিত এ উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা চরাঞ্চল। আমি যেহেতু অর্থনীতি নিয়েও পড়াশোনা করেছি এবং আমার মা একজন শিল্পপতি। তাই পরিবার ছেড়ে বাইরে যেতে যাতে না হয়, সেজন্য এলাকার উপযোগী শিল্পকারখানা গড়ে তুলে অবহেলিত এ জনপদের দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব। রাস্তাঘাট অধিকাংশ এখনো কাঁচা। উপজেলা সদরের রাস্তাগুলোরও দশা বেহাল। মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোর মতো রাস্তাঘাটের উন্নয়নও একই পর্যায়ের। বেকারত্বে ভুগলে তরুণরা বিপথগামী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই তাদের জন্য সুন্দরগঞ্জে একটি আইটি পার্ক করবো।