সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় ধারালো ব্লেড দিয়ে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দিলেন প্রথম স্ত্রী। এঘটনায় অভিযুক্ত স্ত্রী জহুরা বেগম (২৫)কে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ভোর রাতে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের কামড়াবন্দ গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।

অভিযুক্ত স্ত্রী জহুরা আক্তার বাদাঘাট ইউনিয়নের কামড়াবন্দ গ্রামের শাহনুর মিয়ার মেয়ে। আহত স্বামী আজিজুল মিয়া (৩৫) একই গ্রামের শুক্কুর আলীর ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসীর জানায়, ২০২১ সালে বাদাঘাট ইউনিয়নের কামড়াবন্দ গ্রামের শুক্কুর আলীর ছেলের সঙ্গে একই গ্রামের শাহনুরের মেয়ে জহুরা বেগম (২৫)দুজন নিজেদের পছন্দে বিয়ে করেন। বিয়ের কয়েকমাস পর তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য দেখা দেয়।

এর পর থেকে জহুরা তার বাবার বাড়িতেই থাকে সে তাহিরপুরে একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকুরি করতেন। পরে আজিজুল দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর আজিজুল প্রথম স্ত্রী জহুরাকে ডিভোর্স দেয়। কিন্তু জহুরা দাবি করেছে, তাদের মধ্যে কোনো ছাড়াছাড়ি হয়নি। দ্বিতীয় বিয়ের পরও প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতো আজিজুল। প্রথম স্ত্রীর করা এক মামলায় কিছুদিন জেলও কাটে সে। ঘটনার দিন জহুরাকে বলেই রাতে তার বাড়িতে যায়। একপর্যায়ে রাত ৩টার দিকে ব্লেড দিয়ে এ ঘটনা ঘটায় জহুরা। পরে তাকে আশংকা জনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় জহুরার বাবা শাহনুর মিয়া বলেন, বিয়ের কিছুদিন পর মেয়েকে আজিজুল যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে। টাকা না পেয়ে মেয়েকে মানুষিক ও শারীরিক নির্যাতন করতো সে। এর মাঝে আজিজুল কিছু না জানিয়ে আবার দ্বিতীয় বিয়ে করে। কিন্তু ঘটনার রাতে আমরা ঘুমে ছিলাম।

বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নাজমুল হাসান বলেন, ঘটনার পর পরই অভিযুক্ত স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কাজী নাজিম উদ্দীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।