মনজু হোসেন,স্টাফ রিপোর্টারঃ পঞ্চগড় সহ সারা বাংলাদেশে এই মূহুর্তে ভারতীয় পন্য বয়কটের আন্দোলন চলছে।কারন আমরা স্পষ্টভাবে দেখতে পাই ও বুঝতে পাই ভারত বাংলাদেশের উপর আগ্রাসী ভূমিকায় আছে।তাদের আগ্রাসনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে তারা লুটপাট করছে।আমরা সকল ধরনের আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানাই।
বক্তব্য শেষ করে,গণমিছিল নিয়ে তিরনইহাট থেকে সীমান্ত এলাকা খয়খাট পাড়ার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে, বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য,কিছু পাথর শ্রমিক ও পুলিশ বাঁধা দেয়।এতে বাংলাবান্ধা-তেঁতুলিয়া মহাসড়কে বক্তব্য দিয়ে শেষ করে গণমিছিল।
এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ও মুখপাত্র রাশেদ প্রধান।শনিবার (১১ মে) বিকালে তেঁতুলিয়া উপজেলার তিরনইহাট এলাকায় সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবীতে গণমিছিল বের হওয়ার আগে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন,আমরা একমুখী দোষারোপ করতে চাইনা।সারা দুনিয়ায় যারা মোরোল সেজে আছে। যারা আগ্রাসন করছে সেটা ইসরায়েল হোক,আর ভারত হোক, আমরা আমাদের মতো প্রতিবাদ জানিয়ে যাবো।প্রতিবাদটা স্পষ্ট হতে হবে এবং সঠিকভাবে কথা বলতে হবে।সেটা আগ্রাসী মোরোলদের বিরুদ্ধে হোক আর বাংলার সরকারের বিরুদ্ধে হোক।
রাশেদ প্রধান বলেন,আমি বিগত কিছুদিন বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে কোথাও ধান কাটার কোন দৃশ্য দেখতে পাইনি।এখন কি ধান কাটার মৌসম।দেরি আছে শুনলাম।উপজেলা নির্বাচনে ভোটার কম এসেছে কৃষক নাকি ধান কাটছে।অতএব এই জাতীয় মিথ্যা কথা বলে,আমার দেশের মানুষকে অসহায় মনে করবেন না। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানকে বিতারিত করেছিল। যদি প্রয়োজন হয় আবারো যুদ্ধ করে ভারতকে বিতারিত করব।
কেন্দ্রীয় এই নেতা বলেন, ৭ তারিখ জাতীয় নির্বাচন হওয়ার পরে শুধু পঞ্চগড় না বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ভারত থেকে গুলি করে মানুষ হত্যা করছে।একটা মানুষ খারাপ হতে পারে, চোর হতে পারে,পকেটমার,খুনি হতে পারে।অন্যায়ভাবে বিনা বিচারে মানুষ হত্যা করতে পারেন না। আজকে খারাপ মানুষ হত্যা হতে পারে, আগামীতে একটা ভাল মানুষ হত্যা হতে পারে।অতএব কথাবার্তা পরিস্কার অন্যায়ভাবে কোন হত্যা চাইনা, কোন হত্যা দেখতে চাইনা। শান্তিপূর্ণ ভাবে থাকবো এবং শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন পরিচালনা করবো।
এ সময় জেলা জাগপার সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আনছার আলী,সাধারন সম্পাদক শাহরিয়ার বিপ্লবসহ অন্যান্য নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।