প্রতিদিনের বাংলাদেশ।। মহামারি করোনাভাইরাসের টিকা নেয়া না নেয়ার প্রশ্নে দেশের মানুষের মাঝে এক ধরনের উদ্দেশ্যমূলক সংশয় বা আস্থার অভাব সৃষ্টি করা হচ্ছে। বিরোধী দল বিএনপির পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীসহ ভিআইপিদের আগে টিকা নেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে।
তাদের অভিযোগ- প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী বা ভিআইপিরা আগে টিকা না নেয়ায় সংশয় বাড়ছে। তবে সরকার মনে করছে, উদ্দেশ্যমূলকভাবে সংশয় তৈরি করা হচ্ছে। খবর- বিবিসি বাংলার
প্রধানমন্ত্রীর এবং ভিআইপিদের আগের টিকা নেয়ার যে দাবি এসেছে-সে ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড: আহমদ কায়কাউস বলেছেন, ‘আমাদের এখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যটা ছিল যে, যারা সামনের সারিতে কাজ করে আমার আগে তাদের টিকা দরকার। এর ভেতরে অন্য কিছু আছে বলে আমি মনে করি না।’
সাধারণ মানুষ যেটা নেবে প্রধানমন্ত্রীও সেটাই নেবেন জানিয়ে ড: কায়কাউস বলেন, ‘একটা কথা বলে রাখি আমি, ফাইজারের টিকা তো বিশ্বে প্রথম আসে, তখন আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম যে, উনাকে সহ দেয়ার জন্য কিছু নিয়ে আসবো কিনা – তো উনি খুব কড়া দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, তুমি আমাকে এতদিন এটা চিনেছো। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ যেটা নেবে আমিও তাই নেবো। কিন্তু এটাকে অপব্যাখ্যা করাটা খুবই দুঃখজনক।’
ভিআইপিদের প্রথমে টিকা না দেওয়ার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘মহামারির লড়াইয়ে সামনের সারিতে যারা ছিলেন, ভিআইপিদের বাদ রেখে তাদের অগ্রাধিকার দিয়ে টিকা দেয়ার পরিকল্পনাকে ভিন্নভাবে দেখা ঠিক নয়। যখন একটা ভ্যাকসিন আমাদের শীর্ষ পর্যায়ের কাউকে দেয়া হবে, তাকে দেয়ার জন্য ক্যামেরা নিয়ে যেতে হবে ১০টা। সেটা তো আসলে স্বাস্থ্যসম্মত হলো না।’
সরকারের একাধিক সূত্র জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রীরা আগে টিকা নিলে আরো বেশি সমালোচনা করা হতো বলে তারা মনে করেন।
একজন সিনিয়র মন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী আগে টিকা নিলে তখন অগ্রাধিকার তালিকা বাদ দিয়ে মন্ত্রী, এমপি এবং আওয়ামী লীগের নেতা বা রাজনীতিকদের আগে টিকা নেয়ার হিড়িক পড়তে পারে। যা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে এবং এই বিষয়টি সরকার বিবেচনায় নিয়েছে। কিন্তু শীর্ষ পর্যায়ে আগে নেয়ার দাবি যদি বড় ইস্যু হয়, তখন সরকার আলোচনা করে দেখবে।