স্টাফ রিপোর্টার:: বর্তমান সরকার পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করলে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বাম গণতান্ত্রিক জোট। এ দাবি না মানলে হরতাল, ঘেরাও, অবস্থান ও তীব্র বিক্ষোভের মতো কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জোটের সমন্বয়ক মাসুদ রানা।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এ কথা জানান তিনি।
মাসুদ রানা বলেন, এই সমাবেশ অনতিবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচন কমিশন বাতিল, নির্দলীয় তদারক সরকারের অধীনে নির্বাচন ঘোষণা ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছে। এসব দাবিতে সকল শ্রেণি পেশার মানুষ, বিরোধী রাজনৈতিক দল, প্রগতিশীল ও মুক্তমনা, গণতন্ত্রমনা মানুষকে গণআন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। এই সরকার জনমত উপেক্ষা করে দলীয় সরকারের অধীনে এক তরফা নির্বাচনের ঘোষণা দিলে, সর্বোচ্চ বিক্ষোভ সংগঠিত করার প্রস্তুতি নেওয়া, ঘেরাও,অবস্থান, অবরোধ, হরতালের প্রস্তুতি রাখতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, আজকের পর আগামী ১৬-৩০ সেপ্টেম্বর পক্ষকালব্যাপী রাজধানীর বিভিন্ন থানা ও সারাদেশের উপজেলায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ৫ অক্টোবর ঢাকায় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান এবং ৮-১৫ অক্টোবর জেলা ও বিভাগীয় শহরে পদযাত্রা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
সমাবেশে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, অনেক রাজনীতি হয়েছে, অনেক আন্দোলন হয়েছে, সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এক সরকার পরিবর্তন হয়ে আরেক সরকার এসেছে কিন্তু জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি। আন্দোলন হচ্ছে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাচ্ছে, আন্দোলন হচ্ছে বিএনপি ক্ষমতায় যাচ্ছে। জনগণের পক্ষের কেউ ক্ষমতায় যাচ্ছে না। এ কারণে দ্বিধাহীন চিত্তে বলতে চাই গণতান্ত্রিক জোট এবার আর কোনো ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হবে না।
বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভোট নিয়ে নাকি আমরা কথা বলি। কেন কথা বলব না? ভোটের নামে কী করেছেন? যদি লজ্জা থাকত, এ কথা আপনি বলতে পারতেন না।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক, মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী প্রমুখ।