প্রতিদিনের বাংলাদেশ।। ভয়াবহ করোনার অদৃশ্য থাবা থেকে রক্ষা পেতে গত বছরের মার্চ মাস থেকে স্কুল-কলেজ বন্ধ রেখেছে সরকার। কিন্তু সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ঈশ্বরদীতে চলছে বিদ্যালয়ের পাঠদান কর্মসূচী। ফলস্বরূপে স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দিশারী মডেল একাডেমী কিন্ডার গার্টেন এ সকাল থেকেই গাদাগাদি করে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। যেখানে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা তো দুরের কথা শিক্ষা ব্যাবস্থারই করুন দশা। এমনকি শীতকালীন সময়েও শিক্ষার্থীদের মাটিতে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে পাঠদান কর্মসূচি। যেখানে শিক্ষকের জায়গায় কয়েকজন অবিভাবক ও ক্লাস নিচ্ছেন। অবশ্য সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে বিদ্যালয়গুলো তাৎক্ষনিক ছুটি দেওয়া হয়।
দিশারী মডেল একাডেমী কিন্ডারগার্টেন এর পরিচালক খুশি খাতুনের কাছ থেকে বিদ্যালায় চলমান রাখার বিষয়ে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায় নি ।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের সভাপতি লুৎফর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
মুঠোফোনে লক্ষীকুন্ডা ইউপি সদস্য সাকাত আলী বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত ছিলাম না! এখনই জানলাম।
ঈশ্বরদী উপজেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার মৃনাল কান্তি সরকারেরর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিদ্যালয় চলমান রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে কিন্ডারগার্টেন স্কুলের কথা শুনে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, এটা যদি কোনো সরকারি / রেজিঃ প্রাথমিক স্কুল হতো তবে আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারতাম। এটা কিন্ডারগার্টেন স্কুল! তাই এটা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বন্ধ ও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. রেজাউল করিম শাহীন এবিষয়ে মন্তব্য করে বলেন- কিন্ডারগার্টেন তুমি কার?