তিন সপ্তাহ ধরে রাজধানীতে কমেছে সবজির দাম। ক্রেতাদের নাগালে এসেছে আলু, ফুলকপি, শিম, মুলাসহ শীতকালিন অন্যান্য সবজির দাম। তবে, উল্টোচিত্র ডিমের বাজার। সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনে ৫ টাকা বেড়েছে ডিমের দাম।
রাজধানীর কাওরান বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখাযায়, তিন সপ্তাহের ব্যবধানে পুরাত আলুর দাম কেজিতে কমেছে ১০ টাকা। ৪৫ টাকার আলুর ৩৫ টাকায় নেমেছে। বাজারে নতুন আলুর সরবরাহ বাড়ায় এ দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে শীতের সবজি ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, মুলা, শালগমের সরবরাহ বাড়ায় তিন সপ্তাহ ধরে রাজধানীর বাজারগুলোতে তুলনামূলক কম দামে সবজি পাওয়া যাচ্ছে। বেশিরভাগ সবজির কেজি এখন ৩০ টাকা মধ্যে। সবজির দাম স্বস্তি দিলেও নতুন করে বেড়েছে ডিমের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনে ডিমের দাম বেড়েছে ৫ টাকা।
এর আগে লাফিয়ে লাফিয়ে কয়েক দফা আলুর দাম বাড়ায় গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর দুই দফা আলুর দাম বেঁধে দেয় সরকার। কিন্তু সে সিদ্ধান্ত নানা অজুহাতে বাস্তবায়ন হয়নি। বাজারে নতুন আলু আসায় অবশেষে কমেছে আলুর দাম।
আলু দামের বিষয়ে রাজধানীর কাওরান বাজারের ব্যবসায়ী জিয়াউল আহসান বলেন, ‘পুরাতন আলু থাকলেও বাজারে নতুন আলু আসতে শুরু করেছে। সাইজও মোটামুটি ভালো। ফলে নতুন আলুর প্রতি ক্রেতাদের ঝোঁক বেড়েছে। এ কারণে দাম কমতে শুরু করেছে।’
তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে নতুন ছোট আলুর কেজি ছিল ১০০ টাকা, সেখানের সরবরাহ বাড়ায় তা নেমে এসেছে ৪০ টাকায়। কয়েক দিনের মধ্যে আলুর দাম আরও কমবে বলে মনে হচ্ছে।’
অপরদিকে, সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরলেও অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে ডিমের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনে ৫ টাকা বেড়ে এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা।
ডিম ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘বাজারে ডিমের সরবরাহ কিছুটা কমেছে। এ কারণে দাম বেড়েছে। তবে আমাদের হিসেবে এখনো ডিম কম দামে পাওয়া যাচ্ছে।’
এদিকে সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের মতো শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২৫ টাকা। মুলা ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি পাওয়া যাচ্ছে। ৩৫ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে বড় লাউ। গাজর বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি।
এছাড়া বেগুনের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, উস্তের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও পটল ৩০ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
বেশিরভাগ সবজির দাম কমলেও এখনো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পাকা টমেটো ও বরবটি। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা। আর বরবটি গত সপ্তাহের মতো ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে পুরোপুরি স্বস্তি না ফিরলেও পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজ গত সপ্তাহের মতো ৩০ থেকে ৪০ কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। কাঁচামরিচ আগের সপ্তাহের মতো এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা।