জি.এম.কৃষ্ণা শর্ম্মা।। মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর ক্যান্সারে আক্রান্ত সেই মুমিনা বেগমের পাশে এসে দাড়ালো দুই মানবসেবী সংগঠন, আফতাব উদ্দীন খুদেজা বানু ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ( বরমান) ও খোলাফায়ে রাশিদীন ইসলামি সমাজ কল্যাণ সংস্থা ( আসিয়া)
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ৮নং করকপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বারহাল গ্রামের বাসিন্দা স্বামী হারা মুমিনা বেগম যার আপন বলতে রয়েছে ৪ মেয়ে এবং ১ ছেলে। ছেলে সি,এনজি চালক।
কিন্তু দু:খ জনক হলেও এটাই সত্ত তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত। চিকিৎসা করাতে অনেক টাকার প্রয়োজন যা বহন করা কোনু ভাবেই সামর্থ নেই তাদের পরিবারের, তাই আর্থীক দিক দিয়ে পিছিয়ে থাকার কারণে অসহায় হয়ে ঘরেই পরে থাকতে হয়েছিলো সেই মুমিনা বেগমের।
পরে এন, আর মিডিয়ায় একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয় সহযোগীতার জন্য ঠিক তখনি এই দুই সংগঠন এগিয়ে আসে মুমিনা বেগমের পাশে , যোগাযোগ করেন নাসরিন প্রিয়ার সঙ্গে। যে আপনার মিডিয়ায় একটা সংবাদ দেখেছি।
এছাড়াও প্রবাসে থাকা অন্যান্য ব্যক্তিরাও আর্থীক অনুদান দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যক্তিগত ভাবে।
নগদ টাকা হস্তান্তর কালে স্থানীয়দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ও শাযুসের প্রধান পৃষ্টপোষক খালেদ চৌধুরী,শাযের সভাপতি শাহ মোহাম্মদ রাজুল আলী, স্থানীয় ইউপি সদস্য রাসেল আহমদ,আব্দুল কাইয়ুম,শাযুসের অর্থ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম ফরাজ,ক্রীড়া সম্পাদক হোসেন রাব্বি সহ অন্যান্যরা।
এবং আফতাব উদ্দিন খোদেজা বানু ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টের সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল মতালিব, সাধারণ সম্পাদক, মো: হুমায়ুন কবীর। আহমদ উর রহমান, ট্রাস্টি ও ম্যানেজার (অপারেশন) এক্সিম ব্যাংক, মৌলভীবাজার শাখা।
পরে ব্যক্তিগত অনুদান এবং দুই সংগঠনের অনুদান মিলিয়ে মোট ৭৭ হাজার টাকা প্রদান করা হয় তাদের পরিবারের মাঝে।
পরে সচ্চতার সহিত টাকাগুলো যাতে মুমিনা বেগমের চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় সেজন্য গঠন করা হয় ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি পরে ব্যাংকে একটি একাউন্ট করে টাকা গুলো জমা রাখা হয় এবং সেই মুমিনা বেগমের চিকিৎসা খরছ এখান থেকে তুলে করানো হবে। এছাড়াও অন্যান্য যে কোনু ব্যক্তি বা সংগঠন সেই একাউন্টে টাকা দিয়ে সাহায্যে করতে পারবেন।
পরেরদিন চিকিৎসা করানোর জন্য উনাকে নিয়ে যাওয়া হয় সিলেটে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসা দীন অবস্থায় আছেন।
ডাক্তার বলেছে অনেক টাকার প্রয়োজন। এই টাকায় কি তার পুরও চিকিৎসা করানো যাবে? তাই এখনও যদি কেউ এগিয়ে আসতে চান তাহলে হয়তো” আরও উন্নত মানের চিকিৎসা করাতে পারবে তার পরিবার।