বরগুনা প্রতিনিধি:: বরগুনার পাথরঘাটায় ১৫ আগস্টের শোক দিবসের দোয়া মোনাজাত শেষে হোটেলের বিল নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে চারজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আহতরা হলেন – আব্দুল্লাহ আল মুনিম,মো. মশিউর রহমান,ইমরান হোসেন মুছা, নজরুল ইসলাম। এর মধ্যে আব্দুল্লাহ আল মুনিম ও নজরুল ইসলামকে বরিশাল শেবাচিমে রাতেই পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বুধবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। কাকচিড়া ইউনিয়ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে এ জাতীয় শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে আহতরা বলেন, শোক দিবসের অনুষ্ঠানে দোয়া ও মোনাজাত শেষে বিকেলে খাবার বিতরণ করা শুরু হয়।
ওই শোক অনুষ্ঠানে কাকচিড়া বাজারের একটি মিষ্টির দোকানের মিষ্টি দিয়ে বরগুনার বেতাগী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বেতাগী পৌর মেয়র এবিএম গোলাম কবিরসহ তার সঙ্গীয়দের আপ্যায়ন করা হয়। মিষ্টির দোকানের বিল সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরার পক্ষে লোকজন বিল দিতে যায়।
এসময় সংসদ সদস্য শওকত হাসানুর রহমান রিমনের পক্ষে কাকচিড়া সাংগঠনিক থানা ছাত্রলীগের সভাপতি তুহিন পহলান ও তার ভাই উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি তুষার পহলান বিল দিতে আসেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবেই দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এ হামলা করে। এ সময় চারজন আহত হয়।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম হাওলাদার হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রাত থেকেই ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি থমথমে ছিল। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা করা হয়নি।
এ বিষয় জানতে সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কেউ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এছাড়াও তুহিন পহলানের সঙ্গেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে কাকচিড়া ইউনিয়নে শোক দিবসের দোয়া মাহফিল শেষে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পরদিনই কাকচিড়া সাংগঠনিক থানা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করেছে বরগুনা জেলা কমিটি।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) জেলা ছাত্রলীগের নিজস্ব প্যাডে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা তৌশিকুর রহমান ইমরানের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ওই কমিটি বিলুপ্ত করেন।