রাশেদুল ইসলাম রাশেদ:: বিএনপি সরকার তাদের শাসনামলে রেলের ১০ হাজার কর্মী বিতাড়িত করে রেলকে পরিত্যক্ত করেছিল। প্রায় বন্ধ হওয়ার মতো অবস্থার সৃষ্টি করেছিল রেলপথ। আওয়ামী লীগ সরকার সেই রেলকে পুনর্জন্ম দিয়েছে। নতুন নতুন রুট ও অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে রেলকে কার্যকর প্রমাণ করেছে।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া রেলস্টেশনে দীর্ঘ ১২ বছর বন্ধ থাকা রামসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাংলাদেশ রেল বিভাগ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান সরকার ২০২১ সালে রেলওয়েকে পৃথক মন্ত্রণালয়ে রূপান্তর করে রেলের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করেছে। এর আগে রেলের উন্নয়নে অন্য কোনো সরকার কাজ করেনি।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত তাদের শাসনামলে রেলওয়েকে ধ্বংসের মধ্যে ফেলে দিয়েছিল। এখন সরকার রেলওয়ের উন্নয়ন করছে। সেই বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতার লোভে দেশব্যাপী আগুন সন্ত্রাস শুরু করেছে। তারা এর আগে দেশের সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। তাদের এ আগুন সন্ত্রাস বন্ধ করতে জনসাধারণকে এগিয়ে আসতে হবে।
নূরুল ইসলাম সুজন আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রংপুরের আট জেলার প্রতি বিশেষ নজর দিয়েছেন। তিনি এ অঞ্চলের মানুষের সমস্যা সমাধানে নিজে কাজ করছেন, যা ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে। ফলে আজ দীর্ঘ ১২ বছর বন্ধ থাকা রামসাগর এক্সপ্রেস ট্রেন পুনরায় চালু করা সম্ভব হয়েছে।
সাঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম সামশীল আরেফিন টিটুর সভাপতিত্বে এসময় জাতীয় সংসদের হুইপ ও গাইবান্ধা-২ আসনের সংসদ সদস্য মাহাবুব আরা বেগম গিনি, গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান রিপন, ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জি এম সেলিম পারভেজ, সাঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিরুল আলম স্বপন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আলোচনা সভা শেষে রেলমন্ত্রী ফিতা কেটে ট্রেনটির পুনরায় চলাচলের জন্য উদ্বোধন করেন। দীর্ঘ ১২ বছর বন্ধ থাকার পর আবারও বোনারপাড়া-পঞ্চগড় রুটে চালু হলো রামসাগর এক্সপ্রেস। বুধবার (৩০ আগস্ট) থেকে ট্রেনটি এই রুটে নিয়মিত চলাচল করবে।
২০১০ সালের ১২ নভেম্বর গাইবান্ধাসহ উত্তরের জেলাগুলোর লাখো মানুষের চলাচলে আশীর্বাদ হয়ে আসে রামসাগর এক্সপ্রেস। সাঘাটার বোনারপাড়া থেকে প্রতিদিন ভোর ৬টায় ছেড়ে ট্রেনটি গাইবান্ধা ও রংপুর হয়ে দিনাজপুরে পৌঁছাত। এ ট্রেনে রংপুরে চিকিৎসা, ব্যবসা-বাণিজ্য, দাপ্তরিক কাজকর্ম এবং দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে কাজ শেষে সন্ধ্যায় ফিরতেন যাত্রীরা। তিন বছরের মাথায় ২০১২ সালের ২৪ আগস্ট হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় ট্রেনটি।