রাশেদুল ইসলাম রাশেদ:: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গা স্টেশনে মেঝেতে বসে নিতে হয় ট্রেনের টিকিট। এমনকি শুয়ে থেকেও টিকেট কাটার দৃশ্য দেখা গেছে এ স্টেশনে। জানা গেছে, ওই স্টেশনের প্লাটফর্মের উচ্চতা বৃদ্ধি করায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (৭ আগস্ট) সকাল ১০ টা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই স্টেশনে টিকিট কাটতে কোমর বাঁকা করে হেলে অথবা মেঝেতে বসে সাধারণ যাত্রীরা টিকিট কাটছেন।
এ বিষয়ে সাধারণ যাত্রীদের সাথে কথা হলে তারা জানান , প্ল্যাটফর্ম থেকে বগির উচ্চতা অনেক বেশি হওয়ায় স্বাচ্ছন্দ্যে ট্রেনে ওঠা-নামা করতে প্লাটফর্মের উচ্চতা বৃদ্ধি করা হয়। এতে ট্রেনে উঠতে বয়স্ক ব্যক্তি, নারী, অসুস্থ ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের সুবিধা হলেও টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বছরখানেক আগে বামনডাঙ্গা স্টেশনের প্লাটফর্ম ও ওয়েটিং রুমের উচ্চতা বৃদ্ধির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। অন্যদিকে স্টেশন মাস্টারের কক্ষ কাম টিকিট কাউন্টারটি আগের উচ্চতায় থাকায় টিকিট কাউন্টারটি নিচে পড়ে যায়। এতে কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহে এমন সমস্যায় পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
এ প্রতিবেদকের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ যাত্রীরা। তারা বলছেন, প্রতিনিয়ত এভাবে কষ্ট করে টিকিট নিলেও বিষয়টি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দেখেও না দেখার ভাণ করছে।
স্থানীয়রা আরো জানান , কোটি টাকা ব্যায়ে ষ্টেশনটি আধুনিকায়ন করা হলেও টিকিট কাউন্টার টির এমন চিত্র ব্যতিক্রম। এভাবে বসে, হেলে, শুয়ে টিকিট কাটতে গিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ায় ঘটেছে আহতের ঘটনাও। বারবার বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও সমাধান মেলেনি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
বাংলাদেশ রেলওয়ে লালমনিরহাট ডিভিশনের মধ্যে বামনডাঙ্গা রেল ষ্টেশনটি আয়ের দিক থেকে অন্যতম স্থানে রয়েছে বলে জানা গেছে। ঐতিহ্যবাহী রেল ষ্টেশনটির এমন অবস্থার দ্রুতই সমাধান চান এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে ষ্টেশন মাষ্টার মো. হাইয়্যুল মিয়া জানান, আমরাও দেখেছি যে ছাত্রীরা কষ্ট করে টিকিট ক্রয় করছেন। বিষয়টি উধর্তন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা আছে সরকারী স্থাপনা তো বিভিন্ন নিয়ম নীতি থাকে, এগুলো কাজ চলমান আছে, দ্রুতই সমাধান হবে বলে আশা করা যায়।