রাশেদুল ইসলাম রাশেদ::গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে আজ থেকে দু'দিন আগেও মেঝেতে বসে নিতে হতো ট্রেনের টিকিট। এমনকি শুয়ে থেকেও টিকেট কাটার দৃশ্য দেখা গেছিলো এ স্টেশনে। ওই স্টেশনের প্লাটফর্মের উচ্চতা বৃদ্ধি করায় এ সমস্যার জটলা বেধেছিলো বলে জানা গেছে।
এর আগে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই স্টেশনে টিকিট কাটতে কোমর বাঁকা করে হেলে অথবা মেঝেতে বসে সাধারণ যাত্রীরা টিকিট কাটছেন।
এ বিষয়ে সাধারণ যাত্রীদের সাথে কথা হলে তারা জানিয়েছিলেন, প্ল্যাটফর্ম থেকে বগির উচ্চতা অনেক বেশি হওয়ায় স্বাচ্ছন্দ্যে ট্রেনে ওঠা-নামা করতে প্লাটফর্মের উচ্চতা বৃদ্ধি করা হয়। এতে ট্রেনে উঠতে বয়স্ক ব্যক্তি, নারী, অসুস্থ ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের সুবিধা হলেও টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি। স্থানীয়রা জানিয়েছিলেন, কোটি টাকা ব্যায়ে ষ্টেশনটি আধুনিকায়ন করা হলেও টিকিট কাউন্টার টির এমন চিত্র ব্যতিক্রম। এভাবে বসে, হেলে, শুয়ে টিকিট কাটতে গিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ায় ঘটেছে আহতের ঘটনাও। বারবার বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও সমাধান মেলেনি বলে অভিযোগ ছিল স্থানীয়দের।
এসব নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর নড়েচড়ে বসেছে এবার বাংলাদেশ রেলওয়ে লালমনিরহাট ডিভিশন। যাত্রীদের ভোগান্তি দূর করতে অস্থায়ী একটি টিকিট কাউন্টার করে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
বামনডাঙ্গার বাসিন্দা মোকছেদ আল মামুন জানান, গণমাধ্যমে বামনডাঙ্গার এমন খবর প্রকাশ হওয়ার আগেই টিকেট কাউন্টার করা হলে আজ এতটা ট্রলের শিকার হতে হতো না৷ আপাদোত সবাই দেশের অন্যান্য স্টেশনের মতো সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থেকে বামনডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন থেকে টিকেট সংগ্রহ করতে পারবে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে ষ্টেশন মাষ্টার মো. হাইয়্যুল মিয়া জানান,
এসব সমস্যা উধর্তন কর্তৃপক্ষকের নজরে আসার পর বিতর্কিত কাউন্টারটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং অস্থায়ী একটি কাউন্টার করা হয়েছে। স্থায়ী কাউন্টার কবে হবে? এমন প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেন নি তিনি।