গাইবান্ধা প্রতিনিধি: শীতে বিপর্যস্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চল। কনকনে ঠান্ডার কারণে দৈনন্দিন কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ। নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত। দেশের উত্তরাঞ্চল শীতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সূর্যের মুখ দেখেনি রংপুর অঞ্চলের মানুষ।
রংপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার (১৩ জানুয়ারি) রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা জেলায় এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
জেলায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে শীতজনিত রোগ। গত ৬ দিনে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোল্ড ডায়রিয়া আর নিমোউনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে তিন শতাধিক শিশু। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডগুলোতে বেড খালি না থাকায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ফ্লোরে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রংপুর নগরীসহ আশেপাশে জেলা থেকে সকাল থেকে শত শত আক্রান্ত সন্তানদের নিয়ে তাদের মায়েরা হাসপাতালের আউটডোরে দীর্ঘলাইন ধরে শিশু বিভাগের সামনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন।
আউটডোরে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা বলছেন, তারা গুরতর অসুস্থ রোগী ছাড়া অন্যান্যদের ব্যাবস্থাপত্র দিয়ে ফিরিয়ে দিচ্ছেন হাসপাতালে বেড সংকট থাকার কারণে।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. ইউনুছ আলী বলেন, ‘শীতের কারণে শিশুরা নানান রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসছে। অনেককে আউটডোরে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে যাদের অবস্থা গুরতর তাদের ভর্তি করে নেওয়া হচ্ছে।’
তিনি জানান, হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড গুলোতে বেডের চাইতে রোগীর সংখ্যা বেশি।
গত ছয় দিনে ১৬ শিশুর মৃত্যুর বিষয়ে তিনি বলেন, “প্রতিদিন ২০-২৫ জন রোগী চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা যায়।” এসব স্বাভাবিক মৃত্যু উল্লেখ করে তিনি শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় শিশুদের ঘরের বাইরে প্রয়োজন ছাড়া বের না করার পরামর্শ দেন।