আশরাফুল হক, লালমনিরহাট: লালমনিরহাটে গত এক সপ্তাহ জুড়ে শীতের তীব্রতা ও হিমেল হাওয়া বেড়ে যাওয়ায় শহরের প্রধান সড়কের পাশে গড়ে ওঠা ফুটপাতের কাপড়ের দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সব বয়সের মানুষ শীতের কাপড়ের জন্য দোকানগুলোতে গিয়ে তাদের চাহিদা মত কাপড় কিনছেন।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) লামনিরহাটে সদর উপজেলার গোশালা বাাজার, বিডিআরগেট, আদিতমারী উপজেলার বুড়িরবাজার, কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়। চরাঞ্চল এবং বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চল থেকে আসা নারী-পুরুষ ও শিশুরা ভিড় করেছেন ফুটপাতে বসা সস্তা কাপড়ের দোকানগুলোতে।
এ শীতে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কেনাবেচা করেন দোকানিরা। দোকানিরা কম দামের কাপড় নিয়ে বসেছেন ফুটপাতে।
লালমনিরহাট বিডিআরগেট ও বুড়িমারী মহাসড়কের পাশে তুষভান্ডার বাজার সড়কের দুই পাশে বসেছে নতুন ও পুরাতন কাপড়ের হাট। শীতের তীব্রতা ও ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ সকলেই কিনছেন শীতের কাপড়। তবে এসব ক্রেতা বেশির ভাগই নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ। দেখে-শুনে কম দামের নতুন এবং পুরনো কাপড় কিনছেন।
ফুটপাতের দোকানে কাপড় কিনতে আসা শেলিনা খাতুন বলেন, ঠান্ডা নিবারণের জন্য প্রয়োজন গরম কাপড়ের। মার্কেটে নতুন কাপড়ের দাম আগের তুলনায় অনেক বেশি। ফুটপাতে নতুন ও পুরনো কাপড়ের দাম তুলনামূলক কম, মানেও বেশ ভালো। তাই ফুটপাতের কাপড়ের দোকানে কিনতে এসেছি। আমি একটি চাদর ও সুয়েটার কিনেছি।
ফুটপাতের দোকানদার রুস্তম মিয়া বলেন, এসব কাপড় আমরা বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করে বিভিন্ন হাট-বাজারে ভ্রাম্যমাণ দোকান করে বিক্রি করি। দাম কম হওয়াতে বেশি বিক্রি হচ্ছে। ঠান্ডা যতই বাড়বে এসব কাপড়ের চাহিদা আরও বৃদ্ধি পাবে।
লালমনিরহাট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মোরল হুমায়ুন কবির বলেন, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও বিভিন্ন সংঠনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করছেন। অতিরিক্ত ঠান্ডা নিবারনের জন্য খোলা আকাশের নিচে ফুটপাতের দোকানগুলো থেকে একটু কম দামে কাপড় কিনে নিচ্ছেন ক্রেতা সাধারণরা। এসব দোকানে ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে পোশাকগুলো। এসব দোকান থাকায় অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের আয়ের ব্যবস্থাও হয়েছে।