চলতি বছরে সবার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল অনাক্রম্যতা বা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। করোনার কারণে লোকেরা স্বাস্থ্য নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে শীতকালে ফ্লু বা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া সাধারণ, তাই এই সময়ে করোনার ঘটনাও বাড়তে পারে।
সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে বেশিরভাগ মানুষ এই সময়ে ডিকোশন, জুস বা গ্রিন টি পান করছেন। তবে শীতের মরসুমে এমন বেশ কিছু ফল পাওয়া যায়, যা আসলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং যার কারণে শরীর সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সুবিধা হয়। আসুন তেমন ৫ টি ফল সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
পেয়ারা – পেয়ারা শীতের প্রিয় ফল হিসাবে বেশ জনপ্রিয়। পেয়ারা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস (অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস) সমৃদ্ধ, যা দেহে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং কোষকে যে কোনও ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এছাড়া পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায় যা হার্ট এবং রক্তে শর্করার জন্য ভালো।
ন্যাসপাতি: শীতের মরসুমের অন্যতম ফল হল ন্যাসপাতি। এটি খেতেও যেমন সুস্বাদু তেমনি এর রসও সমান উপকারী। বাচ্চারাও খুব উত্সাহের সঙ্গে ন্যাসপাতি খায়। এটি অন্ত্রের পক্ষে খুব ভালো। ন্যাসপাতিতে ভিটামিন ই এবং সি এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
কমলা – কমলা ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম উভয়েরই একটি ভাল উত্স। এই ফল শীতের মরসুমে সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস করে এবং শরীরকে ভিতর থেকে শক্তিশালী করে তোলে। আপনি যদি কমলা পছন্দ করেন তবে এটির রসও খেতে পারেন, বিস্তর দোকানে কমলার রস বিক্রি হয়।
আপেল- একটি আপেল শরীরকে অনেক রোগ থেকে দূরে রাখে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে তোলে। আপেলে ফাইবার, ভিটামিন সি এবং কে থাকে।
বেদানা বা ডালিম: বেদানা চেহারায় লাল এবং খেতে মিষ্টি। এটি রক্তকে পাতলা করে, যা রক্তচাপ, হার্ট, ওজন হ্রাস এবং ত্বকের জন্য খুব ভালো বলে মানা হয়।