রাশেদুল ইসলাম রাশেদ:: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বাজারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের গুরুতর আহত দুই শিক্ষককে দেখতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলেন উপজেলা মাধ্যমিক প্রধান শিক্ষক কল্যাণ সমিতির কোষাধ্যক্ষ ও ভাটিকাপাসিয়া সেসিপ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম. মাহফুজার রহমান লেলিন।
বৃহস্পতিবার তিনি আহত দুই শিক্ষকের সাথে পৃথকভাবে দেখা করেন এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। ধৈর্য্য ধরার পরামর্শ দেন রোগী ও তাঁদের সঙ্গে থাকা স্বজনদের। জরুরি চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পরে তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে সাক্ষাৎ করে কথা বলেন।
চিকিৎসাধীন দুই শিক্ষক হলেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো আবদুর রশিদ মিয়া ও একই পদের দাবিদার মো. আবু রায়হান মিয়া।
কথা হয় শিক্ষক নেতা মো. মাহফুজার রহমান লেলিনের সাথে। তিনি বলেন, আজ ঘটনাটি সংবাদ মাধ্যমে দেখেছি। ভিষণ কষ্ট লেগেছে। সে কারণে ছুটে এসেছি হাসপাতালে।’)
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীর দ্বারা শিক্ষক লাঞ্চিত। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদও জানান তিনি। তবে নতুন ইউএনও স্যার যখন বিষয়টি দেখছেন আশা করছি, খুব দ্রুত একটা ভালো ফলাফল আসবে ইন্শ আল্লাহ।’
উল্লেখ্য, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ আলতাফ হোসেন তাঁর শেষ কর্মদিবস গত ১১ সেপ্টেম্বর বিধিভেঙ্গে সহকারী প্রধান শিক্ষক আবদুর রশিদক মিয়াকে দায়িত্ব না দিয়ে সহকারী শিক্ষক মো. আবু রায়হান মিয়াকে দায়িত্ব প্রদান করেন। এর আগে পূর্বপরিকল্পিতভাবে সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আবদুর রশিদক মিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করেন প্রধান শিক্ষক। পরে সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আবদুর রশিদ মিয়া উচ্চ আদালত ও দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে আবেদন করেন। উচ্চ আদালত ও শিক্ষাবোর্ড তার সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারপূর্বক স্বপদে বহাল করেন। শেষে মো. আবদুর রশিদ মিয়া আদেশের কপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দাখিল করলে গত ২২ সেপ্টেম্বর তাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেন ততকালীন ইউএনও মো. তরিকুল ইসলাম। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয় উভয় শিক্ষকের মধ্যে। পরে সেটি গড়ায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে। ইন্ধন ছিলো স্থানীয় ও রাজনৈতিক নেতাদেরও। পরে সেটি বড় আকার ধারণ করলে শুরু হয় মারামারি। এতে মো. রশিদ মিয়া ও মো. আবু রায়হান মিয়া দু-জনে আহত হন। পরে তাঁদের দু’জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।