শাশুড়িকে নিয়ে মেয়ের জামাই পালিয়েছে এবং এ ঘটনায় স্ত্রীকে ফিরে পাওয়ার জন্য জামাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন শ্বশুর। ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত মেয়ের জামাই এমদাদুল ইসলাম ওরফে এনদারের (৩৫) বাড়ি উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের রমনীগঞ্জ গ্রামে। তিনি তরিফ উদ্দিনের ছেলে এবং অটোরিকশার যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ী।
এদিকে শ্বশুরের বাড়ি নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার উত্তর সোনাখুলি গ্রামে।
আজ মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শ্বশুর নাছির উদ্দিন (৫০) এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
গত ২১ জানুয়ারি জামাই এমদাদুল তার শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়েছেন। এমদাদুলের নিজ স্ত্রী নাজনী বেগম (২২) স্বামীর নির্যাতনে আহত হয়ে বর্তমানে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
নাছির উদ্দিনের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, দেড় বছর আগে নাছির উদ্দিনের মেয়ে নাজনীকে বিয়ে করেন এমদাদুল ইসলাম এনদা। নাজনীকে বিয়ের পর থেকেই জামাই-শাশুড়ির মধ্যকার সম্পর্কের শুরু হয়। মাঝে মাঝেই শাশুড়ি মেয়ের বাড়ি বেড়াতে আসতেন। এতে স্ত্রীকে বাদ দিয়ে শাশুড়ির প্রতি আসক্ত হয় জামাই এমদাদুল। দুজনের এই অবৈধ সম্পর্ক স্ত্রী নাজনী জানতে পারায় প্রায়ই এমদাদুলের সঙ্গে নাজনীর ঝগড়া হতো। ক’দিন আগে নাজনী তার মায়ের সঙ্গে স্বামীর মেলামেশা দেখে ফেলায় স্ত্রী নাজনীকে সাতদিন ঘরে আটকে রেখে মারপিট করেন স্বামী এমদাদুল। নাজনী পরে রাতে দরজা ভেঙে পালিয়ে গিয়ে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। আর এই সুযোগে শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়ে যায় এমদাদুল।
নাছির উদ্দিন জানান, দিনমজুরির কাজের জন্য নোয়াখালীতে গেলে তার স্ত্রী আছিতোন নেছা মেয়ের জামাইয়ের বাড়িতে থাকতেন। তিনি মেয়ের জামাইয়ের বাড়িতে ফিরে দেখেন তার স্ত্রী নেই। পরে তার স্ত্রীকে ফিরে পাওয়ার জন্য মেয়ের জামাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এরশাদুল আলম প্রতিদিনের বাংলাদেশ কে বলেন, ঘটনার বিষয়ে শুনেছি এবং থানায় একটি অভিযোগও পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।