ঢাকারবিবার , ২২ অক্টোবর ২০২৩
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শাশুড়ি দিবস আজ!

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
অক্টোবর ২২, ২০২৩ ২:০২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ডেস্ক রিপোর্ট:: আমাদের জীবনে শাশুড়ি গুরুত্বপূর্ণ মানুষ। তিনি অভিভাবক, মায়ের মতো। এমন একজন মানুষকে সম্মান জানাতে প্রতি বছর অক্টোবর মাসের চতুর্থ রোববার ‘শাশুড়ি দিবস’ উদযাপন করা হয়। সেই হিসেবে আজ ‘শাশুড়ি দিবস’।

১৯৩৩ সালের ৫ মার্চ টেক্সাসের আমারিলোতে স্থানীয় একটি পত্রিকার সম্পাদক প্রথম শাশুড়ির দিবস উদ্‌যাপন করেন। পরে এই দিনটি অক্টোবরের চতুর্থ রোববারে স্থানান্তরিত হয়। তবে দুঃখের বিষয় ইতিহাস সেই সম্পাদকের নামটি জানাতে পারছে না।

শাশুড়ি দিবসটি অবিস্মরণীয় হয়ে ওঠার কারণ ওই সম্পাদক। তিনি এ সম্পর্কিত এক লেখার উপসংহারে তাঁর শাশুড়ির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে লিখেছিলেন, ‘একজন নারী (শাশুড়ি) উভয় লিঙ্গের শিশুদের জীবনে মূল ভূমিকা পালন করে। কিন্তু তাঁর নিজস্ব কোনো ছুটি নেই।’ তিনি আরও লিখেছিলেন, ‘মা দিবস রয়েছে এবং শাশুড়ি আমার দ্বিতীয় মা। তাঁদের আমরা সেভাবে সম্মান জানাতে না পারাটা হবে ভীষণ পীড়াদায়ক।’

ওই নাম না জানা সম্পাদকের এই লেখাটির পরই ‘শাশুড়ি দিবস’ বিশ্বের নজর কাড়ে। বছরের পর বছর ধরে ‘মা দিবস’-এ মায়েদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও নিষ্ঠার যে উদাহরণ তৈরি হয়েছে, তা শাশুড়িরা কখনো পাননি। মা-দিবস, বাবা দিবসের মতো শ্বশুর-শাশুড়ি দিবস পালনে অনীহার কারণ ডিভোর্সও হতে পারে। যত সময় যাচ্ছে বিয়ে বিচ্ছেদের হার তত বাড়ছে। এতে শ্বশুরবাড়ির প্রতি শ্রদ্ধার বোধটি দুর্বল হচ্ছে।

তবে কারণ যাই হোক, শ্বশুর-শাশুড়ি একটি বিশেষ দিন প্রাপ্য। তাঁরা আমাদের জীবনসঙ্গীটির জন্মদাতা-জন্মদাত্রী। অস্বীকার করার উপায় নেই, আজ সুন্দর একটি পরিবারে নিজের স্বামী-সন্তানদের নিয়ে যে সুখটা আমরা উপভোগ করছি, তার উৎপত্তি তাঁদের থেকেই। তাঁরা সন্তানটিকে জন্মের পর সেই শিশুকাল থেকে গড়ে তুলেছেন। তারপর আজ আমি বা আমরা তাদের সন্তানটিকে বর-বউ হিসেবে পেয়েছি।

মোট কথা, শিল্পীর নিখুঁত ভাস্কর্যটি বহু মূল্যে আমরা কিনেছি। এই সৃষ্টির কৃতিত্ব কিন্তু আমাদের নয়; সেটা শিল্পীর। শ্বশুর-শাশুড়ি আমাদের সেই শিল্পী। শ্বশুর-শাশুড়ির প্রতি এই মনোভাব শুধু মেয়েদের বেলায় নয়, বরং ছেলেদের বেলাও একই হতে হবে। একই রকমভাবে ভাবতে হবে দুই পক্ষকেই। তাদের সম্মান জানানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তাই আসুন, এই দিনটিতে আমরা আত্মীয়তার উষ্ণ সম্পর্কের বিষয়টি নিশ্চিত করি। ছেলে-বউ ও মেয়ে-জামাইয়েরা এই দিনে শাশুড়ির প্রিয় কাজটি করতে পারেন। যেমন, সুন্দর একটি রূপালি পানের বাটা বা শাল উপহার দেওয়া যেতে পারে। কিংবা প্রিয় খাবারটি উপস্থাপন করতে নিজে রান্না করে টেবিল সাজাতে পারেন। এই কাজটা শাশুড়িরা খুব পছন্দ করেন। সবচেয়ে ভালো হয় পছন্দের কিছু উপহার দিয়ে তাকে চমকে দিতে পারেন। তিনি অসুস্থ থাকলে তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে পারেন।

আবার যাদের বিয়ের কথা চলছে তারাও হবু শাশুড়িকে শুভেচ্ছা জানাতে পারেন। তাতে বিয়ের কথাটা হয়তো আরও পাকা হবে। এজন্য আপনার শাশুড়িকে ফোন দিতে পারেন। আন্তরিকভাবে জানতে পারেন, তিনি কেমন আছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন