ঢাকাশুক্রবার , ২১ মার্চ ২০২৫
  1. অপরাধ ও আদালত
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইসলাম ডেস্ক
  5. কৃষি ও অর্থনীতি
  6. খেলাধুলা
  7. জাতীয়
  8. তথ্য-প্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. নির্বাচন
  11. বানিজ্য
  12. বিনোদন
  13. ভিডিও গ্যালারী
  14. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
  15. রাজনীতি
আজকের সর্বশেষ সবখবর

লালমনিরহাট-রংপুর বাস চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
মার্চ ২১, ২০২৫ ১২:৫৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

খাজা রাশেদ,লালমনিরহাট।। লালমনিরহাট ও রংপুর বাস মালিক সমিতির দ্বন্দ্বের জেরে লালমনিরহাট-রংপুর সড়কে আন্তঃজেলা লোকাল বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে, লালমনিরহাট থেকে রংপুর ও পাটগ্রামগামী সকল লোকাল বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে,চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এ রুটের সাধারন যাত্রীরা।

রংপুরের এক বাস মালিকের বিরুদ্ধে লালমনিরহাটের দুই মোটর শ্রমিককে হেনস্তার অভিযোগ তুলে কর্মবিরতি পালন করছে লালমনিরহাট মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন। এতে, লালমনিরহাট থেকে রংপুর ও পাটগ্রামগামী সকল লোকাল বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

১৯ মার্চ বুধবার ভোর ৬টা থেকে পাটগ্রাম-লালামনিরহাট-রংপুর মহাসড়কে আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে লালমনিরহাট জেলা বাস মালিক সমিতি। তবে ঢাকাগামী বাস চলাচল স্বাভাবিকই থাকছে।

একারণে, হঠাৎ বিপাকে পড়তে হচ্ছে রংপুরগামী যাত্রী সাধারণকে। যাতায়াতকারীদের বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে। ফলে ঈদের আগে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের।

ভুক্তভোগী ড্রাইভার আলম জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রংপুরের সাতমাথায় তাঁর চাচার গাড়িচালক সাফায়েতের সঙ্গে বিরোধ হলে এগিয়ে যান তিনি।তখন, রংপুরের সাদমান বাসের মালিক সাইফুল তাঁদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। এবং তাঁর স্টাফদের সঙ্গে মিলে মারধর করেন। আমরা এর বিচার না পেলে কর্মবিরতি চালিয়ে যাব।

সুপারভাইজার বিপ্লব হোসেন জানান, রংপুরের শ্রমিকরা লালমনিরহাটে এলে যথাযথ সম্মান পেলেও, লালমনিরহাটের সাধারণ শ্রমিকরা রংপুরে গেলে বৈষম্যের শিকার হন। তিনি আরও বলেন, রংপুরের মালিক-শ্রমিকদের কাছে আমরা দীর্ঘদিন ধরে নিগ্রহের শিকার হচ্ছি। আমরা এর সমাধান চাই।

বাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা নুরনবী বকুল জানান, আমাদের চালক আলম ও সাফায়েতের সঙ্গে রংপুরের মালিক ও স্টাফদের গণ্ডগোল হয়েছে। ধাক্কাধাক্কি ও চড়-থাপ্পড়ের ঘটনাও ঘটেছে। শুধু তাই নয়, আমাদের বাস রাত সাড়ে ৮টার পর ছাড়তে দেয় না, অথচ রংপুরের বাস ১০-১১টা পর্যন্ত চলে। আমরা চাই, তারা এসে ক্ষমা চাইবে এবং সমস্যার সমাধান করবে, তা নাহলে আমরা বাস চালাব না।