ঢাকাসোমবার , ১৫ মে ২০২৩
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

লালমনিরহাটে-সুপারিই নয়-বাতাসে যেন টাকা দুলছে!

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
মে ১৫, ২০২৩ ৫:৩২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আশরাফুল হক, লালমনিরহাটঃ লালমনিরহাট সদর উপজেলার অদুরে দুড়াকুটি দক্ষিণপাড়া দুর্গা মন্দিরের সৌজন্যে পাকা রাস্তার দুই ধারে শোভা বর্ধনের জন্য নিজ উদ্যোগে মডেল হিসেবে কিছু সুপারি গাছের চারা রোপন করেছিলেন লক্ষ্মী কান্ত বর্মন। তিনি লক্ষ্মী মাষ্টার নামে এলাকায় পরিচিত।

দুড়াকুটি দক্ষিণপাড়া দুর্গা মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক ও পার্শ্ববর্তী ভেলাবাড়ি স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক লক্ষ্মী কান্ত বর্মন।

সারি সারি সুপারি গাছের চারাগুলো রোপন করেছিলেন রাস্তার সৌন্দর্যকে বৃদ্ধি করার জন্য-পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাবে, রাস্তার ভাঙ্গন ও মাটির ক্ষয় রোধ হবে।
ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে আলোকসজ্জার জন্য সুপারির গাছগুলোকে খুঁটি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে, প্রতিবছর সুপারি গাছের সুপারি বিক্রি করে মন্দিরের উন্নয়নমূলক কাজ সহ পূজা পার্বণের খরচ মেটানো সম্ভব হবে, জ্বালানির অভাব কিছুটা হলেও দূর হবে বলে মনে করছেন পরিবেশ ও গাছ প্রেমি ওই শিক্ষক।

যে সকল পরিকল্পনা নিয়ে সুপারি গাছ গুলো রোপন করেছিলেন লক্ষ্মী মাষ্টার সে উদ্দেশ্য সফল হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। বর্তমানে ২৬০ টি উন্নত জাতের সুপারি গাছ শোভা পাচ্ছে মন্দির সংলগ্ন রাস্তার দুই পাশ জুড়ে। এ বছর মন্দিরের সুপারি গাছ গুলো থেকে সুপারি বিক্রি করে আয় হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা।

সুপারি গাছগুলোকে দেখলে মনে হয় গাছে শুধু সুপারিই নয় বাতাসে শুধু টাকা দুলছে। এই মডেল অনুসরণ করে মোগলহাট ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে ন্যূনতম এক কিলোমিটার করে ঌ টি ওয়ার্ডে মোট ১০ কিলোমিটার রাস্তার দুই পাশে সুপারির গাছ রোপন করলে, গোটা ইউনিয়ন আর্থিকভাবে লাভবান হবে বলে তার দাবি।

পরিবেশ প্রেমি এই শিক্ষক বলছেন, এক কিলোমিটার রাস্তায় ২ মিটার পর পর সুপারির চারা রোপন করলে রাস্তার দুই পাশে এক কিলোমিটার রাস্তায় ১ হাজার সুপারির গাছ রোপন করা যাবে। এভাবে ১০ কিলোমিটার রাস্তায় মোট ১০ হাজার টি সুপারির চারা রোপন করা সম্ভব। সঠিক পরিচর্যা ও যত্ন নিলে চারা রোপনের ৪-৫ বছর পর প্রতি গাছে গড়ে ২ শতটি করে সুপারি ফল ধরবে। এক একটি সুপারি গড়ে ৫ টাকা হলে একটি গাছ থেকে আয় হবে বছরে ১ হাজার টাকা। আর একটি গাছ থেকে এক হাজার টাকা আয় হলে ১০ হাজার গাছ থেকে প্রতি বছর আয় হবে ১ (এক) কোটি টাকা।

জনপ্রতিনিধি সহ যথাযথ কর্তৃপক্ষ সু-দৃষ্টি দিলে লালমনিহাট জেলায় ৪৫ টি ইউনিয়নে সুপারির চারা রোপন করা সম্ভব হবে এবং লালমনিহাট জেলা বাংলাদেশের মধ্যে পরিচিতি লাভ করবে। শুধু লালমনিহাট জেলায় নয় সারা দেশে সুপারি গাছ লাগানোর উপযোগী যতগুলো রাস্তা আছে এ মডেল অনুসরণ করলে বিশ্বের মাঝে পরিচিতি পাবে বাংলাদেশ।

মোগলহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব এ বিষয়ে বলেন, লক্ষ্মী কান্ত বর্মন যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তবে পুড়ো ইউনিয়নের রাস্তায় যদি সুপারি গাছ লাগানো ও সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করা যেত তাহলে অনেক টাকাই ইউনিয়ন পরিষদের আয় হতো।

আপনার মন্তব্য লিখুন