মোঃ মামুনুর রশিদ (মিঠু)।। লালমনিরহাট সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের সুবারবাড়ি গ্রামে মৃত: অতুল চন্দ্র রায়ের ছেলে তিলক কুমার রায় নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে সংঘবদ্ধ ভাবে লুটপাট চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
২৭ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে এ লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার রাতেই সরেজমিন গেলে ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, ওই সময় তিলক কুমার বর্মন পার্শ্ববর্তী দেউতির হাট গ্রামে অষ্টপ্রহর অনুষ্ঠানে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে যান আয়োজন উপভোগ করতে। বাড়িতে রেখে যান বৃদ্ধ মা গিতা রানি (৬৫) কে। হঠাৎ চাচাতো বোনের ফোন পেয়ে জানতে পারেন, বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। বাড়িতে ছুটে এসে দেখেন সবকটি ঘড় এলোমেলো।
দুস্কৃতিকারীরা নিয়ে গেছে স্বর্ণালঙ্কারসহ নগদ টাকা পয়সা।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী তিলক চন্দ্র রায় লালমনিরহাট সদর থানায় ২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরো ৬/৭ জনকে বিবাদী করে একটি এজাহার দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন, ছাদেক নগর গ্রামের মৃত কাচুয়া মামুদ এর ছেলে আমিনুল ইসলাম (৬৫) এবং পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের খন্ডিকার পাড়া গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে জুয়েল মিয়া (২৬)।
ভুক্তভোগী তিলক চন্দ্র রায়ের সাথে কথা বললে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাটি সম্পূর্ণ সাজানো ও পরিকল্পিত। আমার অনুপস্থিতির সুযোগে বিবাদী দয় সন্ত্রাস প্রকৃতির লোকেদের সাথে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে আমার বাড়িতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে আমার মা গীতা রানীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে, চারটি রুমের মধ্যে ঢুকে আসবাবপত্র তছনছ করে, নগদ ৫৪ হাজার টাকা ও প্রায় দুই ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ সুরতহাল করে নিয়ে যায়।
এদিকে সনাতন সেবক সংঘের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন মিয়া তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, এমন ঘটনার তিব্র নিন্দা জানাই। পুলিশ বিভাগের কাছে অনুরোধ থাকবে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহা আলম এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বিষয়টি জেনেছি অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।