আশরাফুল হক, লালমনিরহাট: লালমনিরহাটে বিএনপি’র ডাকা হরতাল চলাকালে উভয় দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে লালমনিরহাট সদর উপজেলার লোড-আনলোড শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শ্রমিক নেতা নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
উক্ত ঘটনার ৩ দিন পর বুধবার (১ নভেম্বর) বিকেলে লালমনিরহাট সদর থানায় ৮১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয়ের ৩শত থেকে ৪শতজনকে আসামী করে এ মামলা দায়ের করা হয় যার মামলা নং ০২।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাট সদর থানার ওসি তদন্ত কর্মকর্তা স্বপন কুমার।
সদর থানার ওসি তদন্ত কর্মকর্তা স্বপন কুমার বলেন, জাহাঙ্গীর হত্যা মামলায় বিএনপি’র রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালমনিরহাট জেলা বিএনপি’র সভাপতি আসাদুল হাবিব দুলুকে হুকুমের ১নং আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। নিহত জাহাঙ্গীর সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের বেড়পাঙ্গাঁ গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে। নিহত জাহাঙ্গীরের বাল্যবন্ধু পরিচয়ে মামলাটি করেছেন তার বাল্য বন্ধু একই উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের কাজীর চওড়া গ্রামের আমিনুল ইসলাম খান (৪৫)। তিনি হারাটি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য। হত্যাকান্ডের শিকার জাহাঙ্গীর আলম এর পরিবারের সম্মতিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন, যাতে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত হয়।
উল্লেখ্য গত রোববার (২৯ অক্টোবর) বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা হরতালে উভয় দলের সংঘর্ষে আহত হন শ্রমিক নেতা জাহাঙ্গীর সহ অনেকে। দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনের মত রোববার সকালে মহেন্দ্রনগর বাজারের একটি ব্লোক ইট ভাটায় কাজ করতে যাচ্ছিলেন শ্রমিকরা। এ সময় মহেন্দ্রনগর রেলগেট এলাকায় পৌছলে হরতাল বিতর্কে জড়িয়ে তাদের উপর হামলা চালায় বিএনপি’র নেতাকর্মীরা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে কয়েক রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে বিএনপিকে ছত্রভঙ্গ করে। পরে আহত ৪ জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় দুপুরে জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যু হয়।
অপরদিকে সোমবার (৩০ অক্টোবর) বিকাল ৪ টার দিকে নিহত জাহাঙ্গীরকে পারিবারিক কবরস্থানে চির নিদ্রায় শায়িত করা হয়।
এ বিষয়ে সদর থানার ওসি তদন্ত কর্মকর্তা স্বপন কুমার বলেন, হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি, তবে চেষ্টা চলছে।