ঢাকাসোমবার , ১৫ জানুয়ারি ২০২৪
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

লালমনিরহাটে শিশুকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
জানুয়ারি ১৫, ২০২৪ ৭:২৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আশরাফুল হক,লালমনিরহাট:লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় সাড়ে তিন বছরের এক শিশুকে অপহরন করে ২ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করেছে অপহরনকারী চক্র। সোমবার(১৫ জানুয়ারি) দুপুরে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী।

অপহৃত শিশু সামিউল ইসলাম উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের রসুল পাড়া গ্রামের স্বপন মিয়ার ছেলে।

অভিযোগে জানা গেছে, স্ত্রীর সাথে সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটলে সন্তান সামিউল ইসলামকে তার দাদা মোক্তার হোসেনের কাছে রেখে ঢাকার নারায়নগঞ্জে কাজে যান স্বপন মিয়া। সেখানে পরিচয় হয় মামুন নামের নীলফামারীর এক ছেলের সাথে। এক পর্যায়ে তাদের মাঝে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তখন স্বপনকে ঝামেলায় ফেলার হুমকী দেন মামুন মিয়া। কিছুদিন আগে কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরেন মামুন ও স্বপন। যে যার বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। গত শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে পারিবারিক কাজে লালমনিরহাট যান স্বপন মিয়া। এ সময় তার সন্তানকে বাড়ির উঠানে খেলতে দিয়ে পাশের বাজারে যান স্বপনের বাবা মোক্তার হোসেন। ফিরে এসে দেখেন শিশু সামিউল ইসলাম বাড়িতে নেই। অনেক খোঁজাখুজির পরে কোন সন্ধান মেলাতে পারেনি তার পরিবার। শনিবার(১৩ জারুয়ারি) সকালে শিশু  সামিউলের বাবা স্বপনের ব্যবহৃত নম্বরে ফোন আসে মামুনের ০১৭৩৭১১৮১৯১ নম্বর থেকে। সেখানে বলা হয়, শিশু সামিউল তার কাছে আছে অক্ষত অবস্থায় ফিরত পেতে ২ লাখ টাকা পাঠাতে হবে। অন্যথায় শিশু সাসিউলকে পাওয়া যাবে না। বলেই ফোন কেটে দিয়ে অফ করে রাখে।

এ ঘটনায় ওই নম্বরটি উল্লেখ করে মামুনের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সামিউলের বাবা স্বপন মিয়া। অভিযোগ দায়ের পরে রোববার (১৪ জানুয়ারি) পুর্নরায় ফোন করে মুক্তিপনের টাকা দাবি করে মামুন।

অপহৃত শিশু সামিউলের বাবা স্বপন মিয়া বলেন, ফোন করে ২ লাখ টাকা পাঠাতে বলেছে। নয়তো আমার ছেলের ওরা (মামুন) ক্ষতি করবে। থানায় অভিযোগ দেয়ার পরেও রোববার ফোন করে টাকা পাঠাতে বলেছে। নয়তো তারা আমার ছেলেকে ছেড়ে দিবে না।

আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন