খাজা রাশেদ,লালমনিরহাট।। শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মন্ডব সুরক্ষায় এবং সবধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে রাত জেগে নিরাপত্তায় পূজা মন্ডবে মন্ডবে পাহারা দিচ্ছে লালমনিরহাট জেলা বিএনপির নেতৃত্বে ছাত্রদল,যুবদল,স্বেচ্ছাসেবক দল সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর, গোকুন্ডা, কুলাঘাট সহ পৌরসভা এলাকার গোশালা সোসাইটি গুর্গা মন্দির,কালীবাড়ি, কাচারীবাড়ি, রেলওয়ে সনাতনী দুর্গা মন্দির ও বিভিন্ন পুজা মন্ডব ঘুরে দেখা গেছে সন্ধ্যা থেকে শুরু করে সারা রাত পূজা মন্ডবগুলোর মেইন পয়েণ্টগুলোতে নিজের পরিচয়পত্র কার্ড গলায় ঝুলিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে পূজা মন্ডব পাহারা দিচ্ছে তারা।
মন্ডবে পাহারায় নিয়োজিত পৌর এলাকার রেলওয়ে সনাতনী দুর্গা মন্দিরে ৩ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ লিটন মিয়া সহ স্বেচ্ছাসেবক দলের আবু সুফিয়ান,ছাত্রদলের রাব্বি,সাব্বির,সোহাগ সাথে কথা বলে জানা গেছে আমরা দলীয় সিদ্ধান্তে জেলার সকল পূজা মন্ডব সুরক্ষায় রাত জেগে পাহারা দিচ্ছি। যেন,কোন দুষ্কৃতিকারীরা কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা বা কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে।
কয়েকটি দুর্গা মন্দির কমিটির সভাপতি- সাধারণ সম্পাদক জনিয়েছেন, মহাষষ্ঠীর দিন থেকেই স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা মন্ডব গুলোতে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে। বিষয়টি আমরা ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছি। তারা আরও বলেন,অন্যান্য জেলায় মন্ডবে হামলা ভাঙচুরের খবর শুনেছি, লালমনিরহাট জেলায় এখনো পর্যন্ত কোনো বিশৃঙ্খলার খবর পায়নি।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপি'র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম মমিনুল হক বলেন, এটি আমাদের দলের কেন্দ্রীয় ঘোষিত সিদ্ধান্ত মোতাবেক সারা বাংলাদেশে পূজা মন্ডব গুলো নিরাপত্তা দিচ্ছে আমাদের নেতাকর্মীরা। তিনি বলেন, আপনারা জানেন ৫ই আগস্টের পর থেকে একটি গোষ্টি, অন্য একটি দেশকে খুশি করার জন্য তারা বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন প্রকার অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা করে যাচ্ছে। তাই, আমাদের কেন্দ্র সিদ্ধান্ত মোতাবেক সারা বাংলাদেশে আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে যাতে হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গোৎসব শান্তি পূর্ণভাবে শেষ করতে পারে।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু জানান,বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়ীক সম্প্রিতীর দেশ। আবহমান কাল জুড়ে বাংলাদেশের সকল ধর্মের মানুষ পাশাপাশি থেকে একজন আরেকজনকে সহযোগিতা দিয়ে সব ধরনের সামাজিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান করে আসছি। সাম্প্রতিক সময়ে পরাজিত স্বৈরশাসকের পেতাত্মারা, বিশেষ করে সনাতন ধর্মালম্বী মানুষদের বিভিন্নভাবে উস্কানি দিচ্ছে ভয় ভীতি প্রদর্শন করছে এবং তাদের শারদীয় দুর্গা উৎসবটি যেন শান্তিপূর্ণভাবে করতে না পারে সেজন্য তারা নানান ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। এ কারণে আমাদের দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এবং সরকারের পক্ষ থেকে পাঁচস্তরের নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে। আমরা লালমনিরহাটে আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদেরকে দায়ীত্ব দিয়েছি যেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তাদের শারদীয় দূর্গা পূজা ও শারদীয় উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন করতে পারে।