আশরাফুল হক, লালমনিরহাট।। লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় সরকারী গোডাউনের মাঠ দখল করে যুবদল নেতার অফিস ও দোকান ঘর নির্মানের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের খাদ্য শস্য মজুদ রাখার জন্য মহিষখোচা বাজারে একটি এলএসডি গুদাম নির্মান করা হয়। গুদামটি সরকারী কাজে ব্যবহার না হলেও তা মাসিক হাজার টাকা ভাড়ায় ভাড়া দিয়ে রাজস্ব আদায় করছে সরকার। সেই গুদামের মাঠটি জবর দখল করে ৬টি দোকান ঘর তৈরী করেন মহিষখোচা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি নুর আলম।
দীর্ঘ দিন ধরে এসব দোকান ঘর ভাড়া দিয়ে ভাড়া অাদায় করছেন যুবদল নেতা নুর আলম। শুধু দোকান ঘরই নয়, সেখানে রয়েছে ওই যুবদল নেতার একটি অফিস ঘরও। যেখান থেকে ওই ইউনিয়ন যুবদলের কার্যক্রমের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। গুদামের রাস্তাসহ পুরো মাঠটি এবং গুদামে পাশে রাখা জমি পর্যাক্রমে দখলে নিয়েছেন যুবদল নেতা। ফলে অরক্ষিত হয়ে পড়েছে সরকারী শস্য গুদামটি। সরকারের এ জমি উদ্ধার করে এলএসডি গুদামটি সংরক্ষনের দাবি জানিয়ে রোববার(১৩ ডিসেম্বর) আজহার আলী মন্টু নামে অবসর প্রাপ্ত একজন সেনা সদস্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগকারী অবসর প্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট আজহার আলী মন্টু বলেন, জামায়াত বিএনপি'র আমলে এলএসডি গুদামের জমিটা দখলে নিয়েছেন যুবদল নেতা। সেখানে তিনি দোকান ঘর তৈরী করে ভাড়া দিয়েছেন। সরকারী জায়গা জবর দখল করে অফিসও করেছেন। এভাবে দীর্ঘ দিন ধরে বেদখল হয়ে পড়েছে সরকারী জমি। এটি উদ্ধার করে গুদামটি সংরক্ষন করতে ইউএনও বরাবরে এলাকাবাসীর পক্ষে অভিযোগ দিয়েছি।দখলকারী মহিষখোচা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি নুর আলম বলেন, গুদামের বাহিরটা ফাঁকা ছিল তাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে বলে আমরা দোকান ঘর করেছি। সরকার চাইলেই আমরা জায়গা ছেড়ে দিবো। তবে কোন লিজ নেয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।
মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী বলেন, গুদামটি ভাড়া দেয়া আছে। তার মাঠ ও পাশের খোলা জায়গাটি অনেকেই জবর দখল করে গুদামকে অরক্ষিত করে ফেলেছেন। জবর দখলকারীদের অনেকবার সড়ানোর জন্য চাপ দিলেও কাজ হয়নি। সরকারী জমি উদ্ধার করে গুদামটি সংরক্ষন করার দাবি জানান তিনি।
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে জবর দখলের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভাযান চালিয়ে সরকারী সম্পদ উদ্ধার করা হবে।