আশরাফুল হক, লালমনিরহাট।। লালমনারহাট পৌরসভা নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে প্রার্থী'র সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় ছয় জন আহত হয়েছেন।
রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পৌরসভার চারটি কেন্দ্রে এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যাক্ষ হাবিবুর রহমান হাবিব, সুফি তাহেরুল ইসলাম, আব্দুল জলিলসহ মোট ছয় জন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, লালমনিরহাট পৌরসভার ভোটগ্রহণ শুরু হলে বিক্ষিপ্তভাবে চারটি কেন্দ্রে প্রার্থী'র সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। দক্ষিণ বত্রিশ হাজারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গিয়াস উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, রেলওয়ে চিল্ড্রেন পার্ক শিশু স্কুল, সাপ্টানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যাক্ষ হাবিবুর রহমান হাবিবসহ ছয় জন আহত হন।
আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। অপরিদকে বিএনপি'র মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোশারফ হোসেন রানা ও জাতীয় পাটির মনোনীত প্রার্থী এস এম ওয়াহিদুল হাসান সেনা অভিযোগ করে বলেন ক্ষমতাসীন দলের লোকজন বিএনপি'র ও জাতীয় পাটির এজেন্টদেরকে ভোট কেন্দ্র থেকে বাহির করে দিচ্ছে। এবং বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছে।
এদিকে রেলওয়ে চিলড্রেন স্কুলে ভোটগ্রহণে অনিয়মের অভিযোগে এনে আশরাফুল-সহ আরো অনেক ভোটার বলেন, কেন্দ্রের ভেতরে জোর করে একজন তার ভোটটি একটি বিশেষ প্রতীকে দিয়ে দিয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম স্বপন অভিযোগ করে বলেন, সরকারী দলের প্রার্থীর পক্ষে আওয়ামী লীগের লোকজন জোর করে ভোট দিচ্ছেন। আমার প্রতীকের লোকজনকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, পৌরসভার ভোট গ্রহন ১৮টি কেন্দ্র হচ্ছে। এসব কেন্দ্রের বেশিভাগ কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী নারিকেল গাছ মার্কার এজেন্ট ও সমর্থকদের কাছাতে দিচ্ছে না সরকার দলীয় ক্যাডাররা।
এ বিষয়ে প্রশাসনকে বার বার অভিযোগ করা হলেও তারা নীরবতাই পালন করছেন। এ ব্যাপারে
লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম জানান, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটলেও তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে বলেও জানান তিনি।