খাজা রাশেদ, লালমনিরহাট।। সম্প্রতি,লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার দলগ্রাম ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের শ্রীখাতা গ্রামে ১৩ বছরের এক শিশু ধর্ষন এর স্বীকার হন।
এঘটনায় ধর্ষনের শিকার ঐ ভুক্তভোগী শিশুর বাবা মোঃ আব্দুল মমিন বাদী হয়ে ধর্ষক ফরহাদ হোসেন(২২) এর বিরুদ্ধে গত-১৪ সেপ্টেম্বর কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ২৬/৩১০। অভিযুক্ত ফরহাদ হোসেন দলগ্রাম ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের শ্রীখাতা এলাকার মোঃ মনির ছেলে।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়,একই এলাকার বাসিন্দা ফরহাদ হোসেন সুকৌশলে শিশুটিকে
বাড়ির পাশের একটি শুপারি বাগানে
মুখ চেপে ধরে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
ঐ সময় একই এলাকার রুহুল মিয়া (৩৫) সময় বিষয় টি টের পেয়ে তার সাথে থাকা লাইটের আলো জালিয়ে
শিশুটিকে দেখতে পেয়ে সেখান থেকে উদ্ধার করে দ্রুত বাড়ীতে এসে তার বাবা–মা কে জানায়। পড়ে এঘটায় মামলা দায়ের হলেও এখনো ধর্ষক ফরহাদ গ্রেফতার না হওয়ায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেন এই ফরহাদ (২২)দলগ্রাম ইউনিয়নের আলোচিত ধর্ষন মামলার অভিযুক্ত আসামী। ফরহাদ হোসেনের পরিবার প্রভাবশালী।যে কারণে, প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন সময়ে এলাকার মানুষের উপর নির্যাতন নিপিড়ন
করে থাকে।
ভুক্তভোগী শিশুটির মা বলেন, আমার মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে আসলে আমি দেখি ওর পায়ে রক্ত তখন কি হয়েছে জিঙ্গেস করলে প্রথমে কিছু বলতে চায়নি তারপর রাগারাগি করলে আমার মেয়ে ঘরে এসে আমাকে বলে যে, ফরহাদ আমার সাথে এমন কাজ করেছে।ঘটনা জেনে সাথে-সাথে আমরা স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান কে অবগত করি। তখন বিভিন্ন আজুহাত দেখিয়ে তারা বিষয় টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বিচার না পেয়ে
পরে, আমার স্বামী ও পরিবার বাধ্য হয়ে কালীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করি। আমি এই নর পিচাশ ফরহাদের ফাঁসি চাই। শিশুর বাবা মোঃ আব্দুল মমিন কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন,আমার মেয়ে এখনো বাবা মায়ের কোলে ঘুমায়।
আমার এই বাচ্চা মেয়েটির সঙ্গে যে এমন জঘন্য কাজ করেছে আমি তার নামে মামলা করেছি।
আমি বিশ্বাস করি, আদালতের কাছে ন্যায়বিচার পাবো, ইনশাল্লাহ।
এবিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) ইমতিয়াজ কবির বলেন, ঘটনাটি আমি জানার সাথে সাথে পুলিশ পাঠিয়েছি। আসামী ঘটনার পর পর পালিয়েছে, শিশুটির বাবা ফরহাদ হোসেনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে। আমরা আসামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছি।