খাজা রাশেদ, লালমনিরহাট।। “শেখ হাসিনার দুই নয়ন,ছিটমহল বাসীর উন্নয়ন”প্রতিপাদ্যে লালমনিরহাটে ছিটমহল বিনিময়ের-৮ম তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়েছে ।
৩১জুলাই (সোমবার) লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের বাঁশপঁচাই ছালেহা সরকার বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ছিটমহল বিনিময়ের-৮ম তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে আনন্দ-উৎসব মূখর পরিবেশে পুর্বের ছিটমহল বাঁশপঁচাই গ্রামের মানুষজন এই দিনটি উদযাপন করে।
সাবেক ছিটমহলবাসী,বাঁশপচাঁই ভিতরকুটি,কুলাঘাট, লালমনিরহাটের আয়োজনে,
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনটিতে এখানে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এছাড়াও ৮ম তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেককাটা ও বিদ্যালয়ের মাঠে স্থাপিত শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়।
বাঁশপঁচাই ছালেহা সরকার বে-সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ফেরদৌসি রহমান বিউটির সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ লালমনিরহাট জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক অ্যাডঃমতিয়ার রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন, কুলাঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত সভাপতি) এনামুল হক,সাধারন সম্পাদক এমদাদুল হক,ছিটমহল বিনিময় কমিটির সাবেক সভাপতি হারুন- উর- রশীদ।
উল্লেখ্য,দীর্ঘ ৬৮ বছরের বন্দী দশা থেকে মুক্ত হয়ে সাবেক এই ছিটমহলের বাসিন্দারা গত, ৩১জুলাই ২০১৫ সালে এই দিনে বাংলাদেশের মুল ভুখন্ডের সাথে একত্রিত হয়। দীর্ঘ দিনের সুযোগ- সুবিধা বঞ্চিত দেশ,জাতি ও পরিচয় বিহীন মানুষগুলো এই ৮বছরে স্বাধীনতার স্বাদ উপলব্ধি করেছে।ফিরে পেয়েছে তাদের মৌলিক অধিকার,বর্তমান সরকার ছিটমহল বাসীর জীবন মান উন্নয়নে অধিক গুরুত্ব সহকারে রাস্তা-ঘাট,বিদ্যুৎ,শিক্ষা, কমিউনিটি স্বাস্থ্য সেবা,সহ যাবতীয় চাহিদা পূরন করতে বিশেষ প্রকল্প গ্রহন করেন।
ছিটমহল বাসীরা দীর্ঘ বন্দি এই দশা থেকে মুক্ত হবার দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছর নানান রকম আয়োজনে পালন করে আসছে।
ছিটমহল বিনিময় কমিটির সাবেক সভাপতি হারুন -উর- রশীদ জানান,একটি শিশু জন্ম নেবার পর তার নাম, পরিচয়, রাষ্ট্রের সুযোগ সুবিধা নিয়ে বেড়ে উঠে, আমরা যারা বাঁশপঁচাই ছিট মহলের বাসিন্দা ছিলাম তারা অধিকার বঞ্চিত, অবহেলিত যাযাবর মানুষের মত ছিলাম।
আমাদের প্রধানমন্ত্রী সেই দুঃখ-কষ্ট উপলব্ধি করতে পেরেছেন।আমাদের স্বাভাবিক জীবনের নিশ্চয়তা ফিরিয়ে দেন আজকের এই দিনে।মাত্র ০৮ বছরে ৬৮ বছরের বন্দীদশা জীবনের সকল অধিকার গুলো আমাদের ফিরিয়ে দিয়েছেন,একারণে, আমরা সাবেক ছিটমহলবাসীরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞ।