ঢাকাবুধবার , ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

লালমনিরহাটে আওয়ামী লীগ নেতার বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ সহ ৪৭টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩ ৭:০৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাসেল ইসলাম,স্টাফ রিপোর্টারঃ লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে গড়ে উঠা আওয়ামী লীগ নেতার বিলাশবহুল স্থাপনাসহ ৪৭টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

বুধবার (২৭ডিসেম্বর) দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিট্রেট ইসফাত উল কবির, নাজিয়া নওরিন, ফরিদ আল সোহান সহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেন।

জানা গেছে, লালমনিরহাট-১ আসনের (হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম) এমপি মোতাহার হোসেনের ব্যক্তিগত সহকারী ও স্থানীয় গড্ডিমারী ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামিলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ এর গুরুত্বপূর্ণ ফ্ল্যাট বাই পাস এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড এর সরকারি জায়গা অবৈধভাবে দখল করে সেখানে বৈরালী নামে একটি বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ তৈরী করে। এরপর আরো বেশ কিছু যায়গা বেদখল হয়ে যায়। অবৈধভাবে গড়ে উঠে ৪৭টি স্থাপনা।

দীর্ঘদিন ধরে এসব স্থাপনা উচ্ছেদের আইনি নোটিশ দেয়া হলেও তা না সরানোয় আদালতের নির্দেশে তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট সহ শতাধিক পুলিশ প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ওই সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশনায় পুলিশ প্রশাসন অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদ অভিযানে সহায়তা করছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদৌলা বলেন, তিস্তা ব্যারাজ এলাকার ফ্ল্যাট বাই পাস একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা এই এলাকায় কোন প্রকার অবৈধ স্থাপনা থাকবে না। ব্যারাজ এলাকার ৪৭টি অবৈধ স্থাপনার মালিকদের কয়েকবার নোটিশ করার পরেও তারা শোনেনি। তাই অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

লালমনিরহাট জেলা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট ইসফাত-উল-কবির বলেন, আদালতের নির্দেশে তিস্তা ব্যারাজ এলাকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছাদে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টিম কাজ করেছে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এতে কেউ বাধা প্রদান করেননি।

আপনার মন্তব্য লিখুন