আশরাফুল হক, লালমনিরহাট:লালমনিরহাটের ৩টি আসনের ফল স্থগিত চেয়ে ফলাফল বর্জন ঘোষনা করেছেন আওয়ামীলীগের তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী। রোববার(৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় পৃথক পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফল বর্জন ও নির্বাচন স্থগিত চেয়েছেন তিন জন প্রার্থী।
লালমনিরহাট ২(আদিতমারী কালীগঞ্জ) আসনে আওয়ামীলীগ স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি সন্ধ্যায় আদিতমারীর নির্বাচনি ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তুলেন। তিনি বলেন, নৌকার প্রার্থী সমাজকল্যান মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ প্রশাসনের সাথে আতাত করে ব্যাপক জাল ভোট দিয়েছে। মন্ত্রীর নিকট আত্নীয় ১৮জন প্রিজাডিং অফিসার বদলানোর আবেদন করেও কোন কাজ হয়নি। এসব প্রিজাইডিংয়ের সহযোগিতায় দিনভর জাল ভোট হয়েছে। তার প্রতিকার চেয়ে সকাল থেকে রির্টানিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের জানিয়েও কোন প্রতিকার হয়নি। কেন্দ্রে একজন নৌকার সমর্থক একাই ৩শত ব্যালটের নৌকার সিল দিয়ে জনতার হাতে আটক হন। প্রশাসন পরে তা ছেড়ে দিয়েছে। প্রহসনের এ নির্বাচনি ফলাফল বর্জন করে ভোট স্থগিত দাবি করেন তিনি।
লালমনিরহাট ১ (হাতীবান্ধা পাটগ্রাম) আসনের কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের অর্থ ও পরিকল্পনা উপ কমিটির সদস্য আতাউর রহমান ভোট গ্রহন শেষ দিকে ভোটের ফলাফল প্রত্যাক্ষান করে ভোট স্থগিত দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি বলেন, নির্বাচন শুরু থেকে নানান ভাবে হুমকী ধমকি দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমর্থক ও ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসতে বারন করেন নৌকার নেতাকর্মীরা। বিষয়টি প্রশাসনকে বলেও কোন প্রতিকার আসেনি। নির্বাচন কমিশন এ আসনের নৌকার প্রার্থীর পিএস সহ ২০জনের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দিলেও তা করেনি স্থানীয় প্রশাসন। কারচুপির এ নির্বাচন স্থগিত দাবি করেন তিনি।
একই দাবিতে লালমনিরহাট শহরে সংবাদ সম্মেলন করেন লালমনিরহাট ৩ (সদর) আসনের আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্কর। তার দাবি, প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মেরে বক্স ভর্তি করা হয়েছে। নৌকা ছাড়া কোন প্রতীকের পুলিন এজেন্টকে কেন্দ্রে থাকতে দেয়া হয়নি।
মুলত, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাটের ৩টি আসনের ফলাফল বর্জন করে ভোট স্থগিত দাবি করেছেন আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তারা ৩জনই পরাজিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থীদের কাছে।