মামুনুর রশিদ মিঠু,লালমনিরহাট।। লালমনিরহাট সদরের খুনিয়াগাছ ইউনিয়নে বালু দস্যু রবিউল দীর্ঘদিন ধরে তিস্তা নদীর চর থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যাক্তি বিশেষের নিকট বিক্রি করে আসছেন।
আর তার এই অবৈধ কাজে ব্যাবহার করছেন জেলার বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব, বিশিষ্ট ঠিকাদারদের নাম।
সরেজমিন দেখাযায়, সদরের খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বাগডোরা গ্রামের ফজলে রহমানের ছেলে, রবিউল ইসলাম (২৮) তার নিজস্ব ট্রাক্টর দিয়ে ড্রাইভার ও লেবারদের সহযোগীতায় তিস্তা নদীগর্ভ থেকে বালু নিয়ে যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ ঘটনা নতুন নয়। গত ৩ বছর ধরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এভাবেই চলছে বালু ব্যবসা।
অবৈধ এসব বালু বোঝাই ট্রাক্টরের কারনে ঐ এলাকার প্রায় দেড় কিঃমিঃ বাঁধের কাঁচা রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। গাড়ি চলাচলের জন্য সরিয়ে ফেলা হয়েছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভাঙ্গন ঠেকাতে ব্যবহৃত অনেকগুলো ব্লক।
বিষয়টি নিয়ে রবিউলের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বেশিরভাগ সময় ট্রাক্টর ব্যবহার হয় জমি চাষের কাজে। বছরের কিছু সময় নদীতে আমাদের জমি থাকায় সেখান থেকে বালু গাড়ীতে করে বিভিন্ন জায়গায় দেই।
অবৈধ ভাবে বালু উত্তলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি যুবলীগের নেতা পরিচয়ে বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব, ঠিকাদারসহ অনেকের সাথে তার আত্মিয়তার সম্পর্কের কথা বলে বলেন, নদী থেকে বালু উত্তলন কোন বিষয় না। তিস্তা নদীতে আমাদের জমি আছে।
এদিকে রবিউল যুবলীগে কোন পদে আছে তা জানতে খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি শিমুলের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, রবিউল বর্তমানে যুবলীগের কোন পদে নেই। আর বালুর বিষয়ে তিনি বলেন এটি নতুন নয়, গত তিন বছর রবিউল বালুর ব্যবসা করে আসছে।
উল্লেখ্য যে, ২০১০ সালের বালুমহাল আইনে বলা আছে, বিপণনের উদ্দেশে কোনো উন্মুক্ত স্থান বা নদ-নদীর তলদেশ থেকে বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকা থেকে বালু ও মাটি উত্তোলন নিষিদ্ধ। এ আইন অমান্যকারী ব্যক্তি, সহায়তাকারী অনূর্ধ্ব ২বছর কারাদণ্ড বা ৫০হাজার টাকা থেকে ১০লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।