দুধ সবরকম ভাবেই আমাদের পরম উপকারী বন্ধু। স্বাস্থ্যের জন্য দুধ যে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং দুধ যে সম্পূর্ণ আহার, সে কথা তো আমরা সবাই জানি। তবে শুধু স্বাস্থ্য নয়, রূপচর্চাতেও দুধ দারুন উপকারী। কাঁচা দুধ হোক বা নষ্ট হয়ে যাওয়া দুধ, সবই ত্বকচর্চায় ব্যবহার করতে পারেন। দুধ ত্বককে মোলায়েম করে, বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে এবং রোদে পোড়া দাগছোপ কমায়।
জেনে নিন দুধ কী ভাবে আপনার ত্বক ভালো রাখতে কাজ করে…
বলিরেখা কমায়
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে বয়সের ছাপ তো পড়বেই। কিন্তু অনেক সময় আমরা বয়স হওয়ার আগেই বুড়িয়ে যাই। ঠিকমতো ত্বকের খেয়াল না রাখলে ত্বকে বলিরেখা পড়তে পারে। দুধে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বক নরম রাখতে এবং বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে।
ত্বকের যত্নে ক্লিনজিং-এর পর টোনিং মাস্ট, কিন্তু টোনার সম্পর্কে এই কয়েক কথা জানেন…
সানবার্ন সারাতে উপকারী
বেশি সময় রোদে থাকলে সূর্যের অতিরিক্ত অতি বেগুনি রশ্মি ত্বক কালো ছাপ ফেলতে পারে। সূর্যের চড়া রোদ ত্বকের জন্য মোটেও ভালো নয়। রোদো পোড়া দাগছোপ কমাতে খুব ভালো কাজ করে দুধের মধ্যে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড। ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা দুধ তুলোয় ভিজিয়ে গোটা মুখে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। উপকার অবশ্যই পাবেন।
ত্বক নরম রাখে
দুধ সবথেকে ভালো প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার। শীতকালের রুক্ষ দিনে ত্বক নরম রাখতে ফেসপ্যাকে কয়েক ফোঁটা দুধ মিশিয়ে নিন। ত্বকের শুষ্কভাব নিমেষেই গায়েব হয়ে যাবে।
দূষণ থেকে কী ভাবে বাঁচাবেন আপনার ত্বক? জানা থাকা সহজ টিপস…
অ্যাকনে কমাতে সহায়ক
দুধের মধ্যে রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন, যা ত্বকের জন্য খুবই ভালো। কাঁচা দুধ ত্বকে লাগালে অ্যাকনে কমে যাবে। ত্বক পরিষ্কার রাখতে ক্লিনজার হিসেবে দারুন কাজ করে দুধ। ত্বকে জমে থাকা অতিরিক্ত তেল ও ধুলোবালি পরিষ্কার করে দুধ।
* ত্বক ভালো রাখতে একটু বেসন কাঁচা দুধে গুলে নিন। এর মধ্যে এক চিমটে হলুদ আর এক চামচ মধু মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে নিন। এই প্যাক সপ্তাহে দু-দিন করে ১৫ মিনিট ধরে মুখে লাগিয়ে রাখুন। দেখবেন ত্বক আলোর মতো ঝলমল করছে।
* দুধের সঙ্গে চন্দনগুড়ো মিশিয়েও মুখে লাগাতে পারেন। এটি ত্বকে স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য এনে দেবে। এক চামচ ওটমিলের সঙ্গে একটু দুধ মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন। দশ মিনিট পর হালকা হাতে প্যাকটা ঘসে নিয়ে জলে দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি স্ক্রাবার হিসেবে কাজ করে ত্বকের মৃত কোষ তুলে ফেলে ত্বর মোলায়েম করে তুলবে।