আনিসুর রহমান,স্টাফ রিপোর্টার: রাজারহাটে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ ৬ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।বুধবার(২অক্টোবর) দুপুরে তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের রাজারহাট উপজেলা আহ্বায়ক সাজু সরকার স্বাক্ষরিত এক স্মারকলিপি রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাদিজা বেগমের নিকট প্রদান করেন সংগঠনের নেতারা।রংপুর বিভাগের তিস্তা অববাহিকায় ১২টি উপজেলায় একযোগে এ স্মারকলিপি প্রদানের আয়োজন করে তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ।এর আগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা তিস্তা পাড়ের মানুষদের তিস্তার কষাঘাত থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের গুরুত্ব আলোচনা করেন। তারা বলেন ২৪০ বছর বয়সী নদী তিস্তার জন্মলগ্ন থেকে আজ অবধি কোন খনন ও পরিচর্যা করা হয়নি। ২০১৪ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক নদী আইন প্রণীত হয়েছে। আইন অনুযায়ী ভারত তিস্তা নদীর পানি একতরফা প্রত্যাহার করতে পারে না। খরাকালে তিস্তার উজানে যতোটুকুই পানি থাক তার ন্যায্য হিস্যাটাও আমাদের প্রয়োজন। আর তিস্তা খননের মাধ্যমে জলাধার নির্মাণ করে হারানো নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে।
তাদের ছয়দফা দাবি নিম্নরূপঃ
১) তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন,অভিন্ন নদী হিসেবে ভারতের সঙ্গে ন্যায্য হিস্যার ভিত্তিতে তিস্তা চুক্তি সম্পন্ন,তিস্তা নদীতে সারা বছর পানির প্রবাহ ঠিক রাখতে জলাধার নির্মাণ।
২) তিস্তা নদীর শাখা- প্রশাখা ও উপ-শাখাগুলোর সাথে নদীর পূর্বেকার সংযোগ স্থাপন ও নৌ চলাচল পুনরায় চালু।
৩) তিস্তা মহাপরিকল্পনায় তিস্তা নদী
ও তিস্তা তীরবর্তী কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষায়" কৃষক সমবায় এবং কৃষিভিত্তিক শিল্পকলকারখানা গড়ে তোলা।
৪)তিস্তার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের স্বার্থ সংরক্ষণ।নদী ভাঙনের শিকার ভূমিহীন,গৃহহীন ও
মৎস্যজীবীসহ উদ্বাস্তু মানুষের পুনর্বাসন।
৫)ভূমিদস্যু ও কর্পোরেট কোম্পানির হাত থেকে দখলকৃত তিস্তাসহ তিস্তার শাখা-উপনদী দখলমুুক্ত করা।নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ।
৬)তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ এবং প্রকল্প এলাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তিস্তা পাড়ের মানুষদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে।
সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এইচএম জাহেরুল ইসলাম, সাংবাদিক আইয়ুব আলী আনছারী,রতন রায়,জাপা নেতা আব্দুল ওয়াহেদ সরকার,রেজাউল করিম, আলমগীর হোসেন, তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য মোশাররফ হোসেন সহ ভুক্তভোগী বাসিন্দারা।