রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম আহমেদের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।
মনোনয়ন জমা শেষে আসাদুজ্জামান আসাদ সাংবাদিকদের বলেন, জীবনে প্রথম বার আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীকে প্রার্থী হয়েছি, এতে আমার সময় লেগেছে ৩৪ বছর।৩৪ বছর রাজনীতির পথচলার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার প্রতি আস্থা রেখে পবা-মোহনপুর আসনে মনোনয়ন দিয়ে কৃতার্থ করেছেন।এ কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান বলেন, জাতীয়ভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে পদ্মা সেতুর চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলেন, একই পদ্ধতিতে তিনি আগামী জাতীয় নির্বাচনকেও চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।এই নির্বাচন পৃথিবী দেখবে, বাংলাদেশ কত স্বচ্ছ ও পরিষ্কার নির্বাচন উপহার দিতে পারে।সেই নির্বাচনে যত বেশি প্রার্থী হবে তত বেশি গ্রহণযোগ্য হবে।যারা রাজশাহী-৩ আসনে প্রতিদ্বন্দিতা করবেন তাদের সকলেই সাধুবাদ জানাই।
আরেক প্রশ্নের জবাবে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে সম্মান দিয়েছেন, সেটি রক্ষা করে হাসিমুখে যেন তার কাছে ৭ তারিখের পর যেতে পারি এটিই আমার কাছে মূল চ্যালেঞ্জ।নির্বাচনে জনগণের আস্থা নিয়ে বিজয়ী হয়ে তার কাছে যেতে চাই।স্থানীয়ভাবে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) একটি কৃষি উর্বর জায়গা।আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাকে যদি নির্বাচিত করে, এখানে কৃষি ভিত্তিক যেন কিছু শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠে সেগুলো নিয়ে কাজ করবো।
নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির প্রসঙ্গ টেনে আসাদ বলেন, বাংলাদেশের এমন কোনো মানুষ নেই যে সরকারের উপকারের ছোঁয়া পায় নি।আমরা সেই বিষয়গুলো নিয়ে মানুষের কাছে যাচ্ছি।সাধারণ মানুষের যে সাড়া, অনেক মানুষের উপস্থিতিতে পবা-মোহনপুরের নির্বাচনটি হবে।বিএনপি-জামায়াতের বন্ধুরাও তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে আসবে।এই সরকারের যে উন্নয়ন সেই উন্নয়নের অংশীদার-ভাগীদার তারাও।বিএনপি-জামায়াতের নেত্রী স্থানীয়রা হয়তো যাবে না, তবে, তাদের কর্মী-সমর্থকরা অনেকেই ভোট দিতে যাবে।যদি প্রমাণ চান ভোটের দিন আসবেন আমি নাম দিয়ে দিয়ে দেখিয়ে দিবো।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে কী ভাবছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে আসাদ বলেন, নির্বাচন যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নাই হয় তবে ভালো লাগে না।সে হোক বিরোধী দলের বন্ধুরা আর নিজের দলের বিদ্রোহী নামক কিছু মানুষ, আমি তাদেরকে স্বাগত জানাই।পবা-মোহনপুরে আমার দলের মধ্য থেকে কেউ যদি ভোট করতে চায় তার প্রতি আমার কোনো রাগ-ক্ষোভ-দু:খ নাই।আমরা এক সাথেই প্রার্থী হিসেবে ভোট করবো।
মনোনয়ন জমা দেয়ার সময় আসাদুজ্জামানের সাথে তার বাবা প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা আলতাফ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মানজাল হোসেন, সদস্য ফরুক হোসেন ডাবলু, শরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, দুপুরে আসাদুজ্জামান আসাদ রাজশাহীর পবা ও মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছেও মনোনয়নপত্র জমা দেন।