রাজশাহী প্রতিবেদক :: বাংলাদেশের সকল শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্যোগে শিক্ষা বোর্ডে নিরাপদ কর্মপরিবেশের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
সেই লক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বেলা ১২ টায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড চত্বরে 'বাংলাদেশের সকল শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ চাই' শ্লোগানকে সামনে রেখে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষা বোর্ডের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
মানববন্ধন শেষে প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী সাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. অলীউল আলম এর নিকট হস্তান্তর করেছেন তারা।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সচিব প্রফেসর মো. হুমায়ূন কবীর, কলেজ পরিদর্শক মো. এনামুল হক, উপ-কলেজ পরিদর্শক লিটন সরকার, মাধ্যমিক উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. মঞ্জুর রহমান খান, সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. গোলাম ছারোয়ার, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ও আন্ত শিক্ষা বোর্ড কর্মচারী ফেডারেশনের মহাসচিব মো. হুমায়ূন কবীর লালু, সহ-সভাপতি আজাদ আলী এবং অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. শফি উদ্দিন।
স্মারকলিপি থেকে জানা গেছে, এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৪ এর ফলাফল প্রকাশের পর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা তাদের চাহিদা মোতাবেক ফলাফল না হওয়ায় বিক্ষিপ্তভাবে কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী শিক্ষা বোর্ডে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে। গালমন্দ করা, শারীরিক লাঞ্চিত করা, আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে গত ২০ অক্টোবর ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ কিছু সংখ্যাক শিক্ষার্থী দ্বারা আক্রমণের শিকার হয়। অনুরূপভাবে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডেও গত ২০ অক্টোবর কিছু সংখ্যাক শিক্ষার্থী এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। কতিপয় ছাত্র-ছাত্রী ও ভাড়া করা ব্যাক্তিবর্গ শিক্ষা বোর্ডে প্রবেশ করে আইন বহির্ভূত ব্যক্তিগত দাবী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে গেইটে ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রুমে তালা ঝুলিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. অলীউল আলম'র সুযোগ্য নেতৃত্বে তাদের বুঝিয়ে বোর্ডের বাইরে পাঠানো হয়। এ ধরণের বিধি বর্হিভূতভাবে বোর্ডে এসে বিশৃঙ্খলা তৈরীসহ সুশৃঙ্খল কর্মপরিবেশ বিনষ্ট করার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য স্মারকলিপিতে অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।