পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে নির্মানাধীন ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দার ছাদ ঢালাইয়ের সময় ধসে পরার ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার ১৪'মার্চ সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী নির্মাণ শ্রমিকরা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নির্মাণাধীন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। আনুমানিক সন্ধ্যা ৬ টা ২০ মিনিটের দিকে বারান্দা (চড়ৎপয) অংশের ছাদ ঢালাই দেওয়া হচ্ছিল। শেষ মুহূর্তে ঢালাই চলাকালীন সময়েই বারান্দার অংশের সেই ছাদ ধসে পড়ে এসময় শ্রমিকদের মধ্যে আতংক সৃষ্টি হয় তবে এতে হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি।
স্থানীয় প্রতিনিধির পাঠানো তথ্যে ওইদিন রাতেই সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বারান্দার অংশের ছাদ ধসে পড়ে আছে। সেখান থেকে রড সরিয়ে নিচ্ছে নির্মাণ শ্রমিকরা। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাউকে সেখানে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি। আর সন্ধ্যায় কেন ঢালাই দেওয়া হচ্ছিল, এনিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাজটি দেখভালের দায়িত্বে থাকা রাহাত হোসেন বলেন, ‘হাসপাতালের পুরো ছাদটি ১০ হাজার স্কয়ার ফুট এরমধ্যে বারান্দার ১৭৬ স্কয়ার ফুট। আমরা সবাই যখন ইফতারি করতে যাই। তখন আমাদের না বলেই বারান্দার সেই অংশটুকু ঢালাই দেওয়া শুরু করে শ্রমিকরা। এইসময় সেন্টারিং ভালভাবে না হওয়ায় এই ঘটনা ঘটে।’
জানা গেছে, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এইচইডি) অধীনে পটুয়াখালীর প্রাইম কনস্ট্রাকশন নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্মাণকাজটি করছিল। প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজটি পায় এই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। গতবছরের জুলাই মাসে কাজটি শুরু করে তারা।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘দুর্বল সেন্টারিংয়ের কারণে সামনের বারান্দার অংশটির ছাদ ধসে পড়েছে। তারাহুরো করে কাজটি করতেছিল মিস্ত্রীরা। তাই ঢালাই দেওয়ার পরপরই পড়ে গেছে। আমরা এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পর মূল ঘটনাটি সম্পর্কে জানা যাবে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বলছে, ঢালাই শ্রমিকদের সেন্টারিং ক্রুটির কারনে ঘটনাটি ঘটে।