ঢাকারবিবার , ১৬ মার্চ ২০২৫
  1. অপরাধ ও আদালত
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইসলাম ডেস্ক
  5. কৃষি ও অর্থনীতি
  6. খেলাধুলা
  7. জাতীয়
  8. তথ্য-প্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. নির্বাচন
  11. বানিজ্য
  12. বিনোদন
  13. ভিডিও গ্যালারী
  14. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
  15. রাজনীতি
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রমজানে পানিশূন্যতা দূর করার সহজ উপায়

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
মার্চ ১৬, ২০২৫ ৬:৪৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

লাইফস্টাইল ডেস্ক:: রমজানে দীর্ঘ সময় পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয়, যা শরীরে পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন সৃষ্টি করতে পারে। এসময় সঠিকভাবে পানি ও তরল খাবার গ্রহণ করা জরুরি, যেন শরীরের পানির চাহিদা পূরণ হয়। অনেকেই সেহরির শেষ মুহূর্তে প্রচুর পানি পান করার ভুল করেন, কিন্তু এটি কার্যকর পদ্ধতি নয়। বরং ধাপে ধাপে পানি পান করাই শরীরের জন্য উপকারী।

রমজানে পানিশূন্যতা কেন হয়?
রমজানে দীর্ঘ সময় খাবার ও পানীয় গ্রহণ করা হয় না, যার ফলে শরীরের পানি স্বাভাবিক মাত্রায় না থাকলে ডিহাইড্রেশন দেখা দিতে পারে। এর প্রধান লক্ষণ হলো:

  • তীব্র তৃষ্ণা অনুভব করা।
    গলা ও মুখ শুকিয়ে যাওয়া।
    ক্লান্তি বা দুর্বলতা অনুভব করা।
    মাথা ব্যথা বা বুক ধড়ফড় করা।
    কখনো কখনো মাথা ঘোরা বা মূর্ছা যাওয়া।

রোজায় পানিশূন্যতা কমানোর উপায়:
রমজানে শরীরকে পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা করতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম মেনে চলা উচিত। ইফতারের সময় পরিমিত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। শরীরের পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে ইফতারে খেতে পারেন ফলমূল, শসা, খেজুর, দই, দই-চিড়া, কলা-দই-চিড়া, লাচ্ছি, লাবাং, মাঠা, বিটের জুস, ডাবের পানি, লেবু-পানি, আখের গুড়ের শরবত, তরমুজ ও স্ট্রবেরি স্মুদি, বেলের শরবত ইত্যাদি। এসব পানীয় শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করবে।

সঠিক খাবার ও পানীয় নির্বাচন

ইফতারে চা ও কফির পরিবর্তে জিরা-পানি বা আদা-পানি পান করা ভালো। এতে শরীরের পানির ঘাটতি কমবে। ইফতারের পর থেকে সাহরির আগ পর্যন্ত অল্প অল্প করে পানি পান করা উচিত। সেহরি ও ইফতারে সুষম খাদ্যতালিকায় উচ্চ আঁশসমৃদ্ধ খাবার যেমন—ডিম, মাছ, মাংস এবং দুধ-কলা-ভাত রাখা যেতে পারে। এছাড়া লো ফ্যাট দুধ, টকদই ও পর্যাপ্ত সবজি খাওয়াও উপকারী।

পানিশূন্যতা প্রতিরোধে বিশেষ টিপস:
সেহরিতে চিয়া সিড ভেজানো পানি বা তোকমার শরবত কিংবা ইসবগুল মিশিয়ে এক গ্লাস দুধ পান করা যেতে পারে, যা শরীরে দীর্ঘ সময় পানি ধরে রাখতে সাহায্য করবে। অতিরিক্ত লবণযুক্ত বা মসলাযুক্ত খাবার কম খাওয়া উচিত, কারণ এসব খাবার শরীর থেকে পানি বের করে দেয়।

রমজানে সুস্থ থাকতে শরীরের পানির ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি। পর্যাপ্ত পানি ও সঠিক খাবার গ্রহণ করে সহজেই পানিশূন্যতা এড়ানো সম্ভব। তাই সুস্থভাবে রোজা পালনের জন্য সচেতনতার সঙ্গে খাদ্যাভ্যাস মেনে চলুন।