ঢাকাসোমবার , ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রক্ত-ঋণ!

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১ ৬:২৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রক্ত-ঋণ
শমিত কুমার লাহিড়ী

একাত্তরের পঁচিশে মার্চ,
রাতের অন্ধকারে,
হানাদার সব হ’লো জড়ো
ঢাকার সে নগরে ।

তিরিশ লক্ষ বাঙালিকে
হত্যা করতে হাজির,
অপারেশন ‘সার্চ-লাইট’ সে,
ইতিহাসের নজির ।

ইয়াহিয়া খান নেতা তার,
“ধরো এবং মারো,
বাঙালি সব চাটবে যে পা,
যদি এমন করো ।”

‘জগন্নাথ হল’ হ’লো ধ্বংস,
সাতশো ছাত্র শহীদ ।
এইভাবেই সে ভাঙবে বুঝি
আওয়ামী লীগের ভিত !

আঁধার রাতেই হানা দিলো
পাকিস্তানি সেনা ।
হাজার ছাত্র-শিক্ষক শুধলো
বাংলাভাষার দেনা ।

বাদ গেল না বুদ্ধিজীবী,
পুলিশ, ই.পি.আর !
তবু তাদের মানতে হ’লো
বাঙলার কাছে যে হার ।

নয় মাসের সেই ভীষণ লড়াই,
যেদিন হ’লো সব শেষ,
সেই দিন আবার জন্ম নিল
‘স্বাধীন’ বাংলা এই দেশ ।

ডিসেম্বরের ষোল তারিখ,
পবিত্র এই দিনে
‘বিজয় দিবস’ পেল ‘বাংলা’
লাখো রক্তের ঋণে ।

বাংলাদেশ ‘মা’ বাংলাদেশীর,
নাড়ীর সাথে সংযোগ ।
ভুলিনি মা সেই অত্যাচার,
কালো রাতের দুর্যোগ ।

বাপ-দাদাদের সেই আত্মত্যাগ,
লাখো রক্তের ঋণ-টা,
স্মরণ ক’রে আজও ভাবি
যুদ্ধের রাত আর দিনটা ।

প্রণাম জানাই লাখো শহীদ,
তোমাদের-ই পায়ে ।
তোমাদের সব রক্ত বইছে
আমাদের যে গায়ে ।

বাংলাদেশের বিজয় কেতন
সদাই উঁচু রাখবো ।
করছি শপথ সবাই আমরা
মিলেমিশেই থাকবো ।

শত্রু এলে একজোটে সব
ধ’রবো চুলের মুঠি,
দু’হাত দিয়ে ছিঁড়বো তাদের
একটা একটা টুঁটি ।

আসবে না আর, কথা দিলাম,
এমনতর সে দিন ।
ভুলবো না গো কোনো দিনও
বীর শহীদদের সে ঋণ ।

আপনার মন্তব্য লিখুন