কামরুজ্জামান সেলিম,রংপুর ব্যুরো।। রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ১নং কল্যানী ইউনিয়নের ২নং স্বচাষ স্কুল সংলগ্ন জমির দেওয়ানীর ব্রিজটি দুই বছর যাবৎ বন্ধ হয়ে পড়ে আছে।
তথ্যসুত্রে জানা যায় সরকারী নিয়ম অনুযায়ী ব্রিজটি টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ শুরু হয়।১৯ লাখ ৮৫ হাজার টাকায় শুধু খাল খননের মধ্যদিয়ে শেষ হয়,পরবর্তীতে পীরগাছা উপজেলার অন্দানগরের ঠিকাদার তারা মিয়া ব্রিজটির কাজ না করে পালিয়ে যায়।দূর্ভোগের কমতি নেই, পথযাত্রীসহ ব্রিজের উপর দিয়ে প্রতিদিন বহু মানুষের চলাচল।বিশেষ করে কমলমতি বাচ্চারা ব্রিজটি উপর দিয়ে যাতায়াত করতে অনিহা প্রকাশ করে।
জমির দেওয়ানীর ব্রিজটি দিয়ে স্বচাষ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,বিহারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,কল্যানী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিহারী উচ্চ বিদ্যালয় ও কল্যানী উচ্চ বিদ্যালয় ব্রিজটি দিয়ে চলতে পারেনা কোন মটরগাড়ী এমনকি রিক্সা-ভ্যান ।এ ব্রিজটির দুর্ভোগে এলাকার পথযাত্রী সহ প্রায় এক লাখ মানুষকে হতে হয় দিশেহারা।অথচ এ দুর্ভোগ দেখে ও দেখছে না সংশ্লিষ্টরা।স্বাধীনতার পর থেকে এই ইউনিয়নের রাস্তাটি অতি গুরুত্বপূর্ন। স্থানীয় সরকারের অধীনে রাস্তাটি নির্মান করার কথা থাকলে ও তা আর সম্ভব হয়ে উঠছেনা।
সরোজমিনে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানাযায় যন্ত্রচালিত যানবাহন না করলেও রিক্সা ভ্যান থেকে শুরু করে সব যানবাহনই জমির দেওয়ানীর ব্রিজটি দিয়ে যাতায়াত করতো।এখন সেটাও হচ্ছে না।গত দুই বছরেও ব্রিজটির সংস্কার না হওয়ায় উল্লেখিত ইউনিয়নের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড ঝিমিয়ে পড়ে ।
এছাড়া কৃষকরাও উৎপাদিত ফসল বিভিন্ন জেলা ও ইউনিয়ন ও হাট বাজারে সরবরাহ করতে না পারায় উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য থেকে ও বঞ্চিত হচ্ছে।এই ভাঙ্গা ব্রিজটি দিয়ে শুকনো মৌসুমে লোকজন পায়ে হেঁটে চলাচল করতে পারলে ও রিক্সা-ভ্যান বা অন্য কোন যানকোনভাবেই চলাচল করতে পারে না।
বর্ষাকালে সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে।এমনকি জরুরী ভিওিতে কোন রোগী হাসপাতালে কিংবা ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়ার মত কোন উপায় নেই।স্থানীয় বাসিন্দা জয়নাল মুন্সি জানান আমরা গুটি কয়েকজন ব্যক্তি নিজ অর্থায়নে বাঁশের সাকো তৈরী করি এলাকার মানুষের দূর্ভোগ কমাতে।
১নং কল্যানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আলম বলেন ব্রিজটি দ্রƒত নির্মানের ব্যবস্থা করা হয়েছে অচিরেই আমাদের সপ্ন বাস্তবায়ন হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।