মোঃ আইনুল হক,পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:: ঠাকুরগাওয়ের পীরগঞ্জে বিভিন্ন হাট বাজারের অলিতে গলিতে যুবসমাজ ধ্বংসের মূল কারণ মোবাইলে গেম আসক্তি। মুঠো ফোন আবিষ্কার হয়েছিল মানুষের উত্তম ব্যবহারের জন্য, মোবাইলের উপকারিতা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নাই। কিন্তু মোবাইলের অপব্যবহারে আজ উপকারের চাইতে বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
মানুষের বিনোদনের জন্য বের হয়েছে মোবাইলে গেম আর এই মোবাইলে গেমে আসক্ত হয়ে ছাত্র জীবনের চিন্তাভাবনা বাদ দিয়ে ধ্বংসের লীলা খেলায় মেতে উঠেছে যুবসমাজ। এর অন্যতম কারণ হলো মোবাইল। অথচ একই প্রযুক্তিকে সদ ব্যবহারে মাধ্যমে কাজে লাগিয়ে বিশ্বের অনেক দেশ দ্রুত উন্নতি ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে চলেছে। এখানে পার্থক্য আসলে দৃষ্টিভঙ্গি এবং ব্যবহারের।
আমাদের দিনের বেশিরভাগ সময়েই কাটে এই মোবাইলে গেমের পিছনে ব্যয় করে। তবে এ মোবাইল গেম এর কারনে মানুষের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে মারাত্মক ক্ষতি হয় এবং বেশি সময় ধরে মোবাইল গেম খেলার কারণে চোখে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। অতিরিক্ত সবকিছুই খারাপ। বেশি সময় পর্যন্ত মোবাইলে গেম খেলার কারণে মনোযোগ শুধু মুঠো ফোনেই ব্যস্ত থাকে। তাই হঠাৎ মুঠোফোন রেখে অন্যদিকে তাকালে প্রচন্ড মাথা ব্যথা শুরু হয়। তাছাড়া মোবাইল গেম খেলার সময় ঝুঁকে থাকার কারণে ঘাড়ে ব্যথা হয়ে থাকে। মানুষের চিন্তাশক্তি কমে যায়। সৃজনশীল মেধা হ্রাস পায় । ফলে ব্যক্তির নতুন কিছু সৃষ্টির দক্ষতা কমে যায়। সেই সঙ্গে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এর ক্ষমতাও কমে যায়।
বর্তমান যুগে শিশু কিশোর যুবক যুবতী সবাই মোবাইল গেম নিয়ে এত বেশি আসক্ত যে তারা পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। অনেকে পড়ালেখা থেকে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হচ্ছে। আজকের যুবকরাই এই ভবিষ্যতের প্রদীপ। কিন্তু বর্তমানে যুবসমাজ মোবাইল গেম এর প্রতি এতই আসক্ত যে তারা দায়িত্ব কর্তব্য কাজকর্ম ইত্যাদি বাদ দিয়ে সারাদিন মুঠোফোনের পিছনে পড়ে থাকে। এর ফলে কাজকর্ম না করায় বেকারত্বের হার বেড়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে দেশের মানুষ ও চরম দারিদ্র্যের শিকার হচ্ছে। যেহেতু এই গেমের মাধ্যমে শিশু নারী পুরুষ সহ যুব সমাজ ক্ষতির সম্মুখীন তাই এখনই আমাদের সচেতন হওয়া জরুরী।
এজন্য শিক্ষিত সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে, মোবাইল গেমের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে পত্রিকায় সচেতন বার্তা লিখতে হবে। তাছাড়া পোস্টার ব্যানার লিফলেট ইত্যাদির মাধ্যমে সবাইকে সচেতন করে তুলতে হবে। গ্রামে গঞ্জে পাড়া মহল্লায় নাটকের মাধ্যমে সবাইকে সতর্ক করতে হবে। মানুষকে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ করে তুলতে হবে। এভাবে সচেতন করে তুলতে পারলেই মোবাইল গেম থেকে যুবসমাজসহ সবাইকে বাঁচানো সম্ভব।