বিশ্বব্যাপি মহমারি করোনা ভাইরাসের তান্ডবে থমকে গিয়েছিল গোটা পৃথিবী । সংক্রামনের সাথে সাথে মৃতুহার ও ছিল আকাশ চুম্বি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বন্ধছিল সকল কার্যক্রম। বাংলাদেশেও সরকারি এক প্রজ্ঞাপনে আগামী ১৯ ডিসেম্বর পযর্ন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং বাংলাদেশে এই প্রথম পরীক্ষা ছাড়াই প্রাইমারি, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সকল শিক্ষার্থীদের উত্তীর্ণ ঘোষণা করেছেন শিক্ষা মন্ত্রী ডঃ দিপু মনি।
শিক্ষার্থীদের লম্বা ছুটির কারণে বেশির ভাগই মোবাইল, ট্যাব, কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সহজ প্রাপ্তির সুযোগে গেম আসক্তি হয়ে পড়েছে। সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমান সময়ে ক্রিকেট, ফুটবল ও অন্যান্য খেলা দুলার জায়গা দখল করে নিয়েছে এসব ভার্চুয়াল গেম, যার মধ্যে পাবজি, ফ্রি ফায়ার অন্যতম। ঘরে, বাইরে, চায়ের দোকান, মহল্লার মোড়ে মোড়ে চলেছে গেমের প্রতিযোগীতা।
এসব গেমের আকর্ষণীয় ফিচার মুখদ্ধ করছে কোমল মতি শিশু থেকে যুবকদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু যুবকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিযোগীতার মাধ্যমে গেম থেকে উপর্জন করা যায়। তাছাড়া গেমের খেলোয়াড়দের বিভিন্নরকম সাজ সজ্জার প্রয়োজন হয়, বিট কয়েন দ্বারা তা ক্রয় করতে হয়। বিট কয়েন কিনতে পরিবার থেকে টাকা নিয়ে বিকাশের মাধ্যমে কিনছে পছন্দসই সাজ সজ্জা। গেমের নেশা এভাবে চলমান থাকলে ভয়ংকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে এনমটা ধরানা করছেন অভিভাক গণ।
অচিরেই এসব গেম বন্ধ করার দাবি জানান সচেতন মহল। তাছাড়া বিশেষজ্ঞ ডাক্তরগণ বলেন দীর্ঘ সময় মোবাইল ফোন বা অন্যান্য ডিভাইস ব্যাবহারের ফলে চোখের ক্ষতি হচ্ছে। শিশু থেকে যুবক যারাই দীর্ঘ সময় কাছ থেকে মোবাইল ফোন ব্যাবহার করছে তারা ধীরে ধীরে দুরের দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে ফেলবে।